নজর২৪, ঢাকা- প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘বর্তমানে দেশে করোনার প্রকোপ কিছুটা কমে এলেও আসন্ন শীতে এটি বৃদ্ধি পাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।’
করোনার দ্বিতীয় ঢেউ ও শীতকালে সংক্রমণ বৃদ্ধির যে আশঙ্কা করা হচ্ছে, তা মোকাবিলায় ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
প্রধানমন্ত্রী সংসদে বলেন, আসন্ন শীত মৌসুমে যাতে করোনা বাড়তে না পারে, সেজন্য নো মাস্ক, নো সার্ভিস নীতি বাস্তবায়নের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। দেশের পয়েন্ট অব এন্ট্রিগুলোতে স্ক্রিনিং অব্যাহত রয়েছে। বিদেশ ফেরতদের ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিন বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। কোভিড প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে নেওয়া কর্মপরিকল্পনা অনুযায়ী কার্যক্রম পরিচালনা হচ্ছে। তিন কোটি ভ্যা-ক-সিন আমদানির লক্ষ্যে সরকারের সঙ্গে ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউট ও বেক্সিমকো ফার্মার সঙ্গে তৃতীয়পক্ষীয় চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।
বুধবার (১৮ নভেম্বর) জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তরে বিশেষজ্ঞদের অভিমতের উদ্ধৃতি দিয়ে প্রধান মন্ত্রী সংসদে এ তথ্য জানান। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উপস্থাপিত হয়।
এসময় প্রধানমন্ত্রী জানান, কোভিড-১৯ সারাবিশ্বে এক ভয়ানক পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে। এক অজানা ভাইরাস দ্বারা বৈশ্বিক মহামারি ঘটবে বিজ্ঞানীগণ এ ধরণের আশঙ্কা করলেও সেটা যে এত দ্রুত গোটা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়বে এবং তা রোগতত্ত্বের প্রচলিত ব্যাকরণগুলোকে চ্যালেঞ্জ করে নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করবে- সেটা কারও ধারণাতেও ছিল না।
জাতীয় পার্টির ফখরুল ইমামের প্রশ্নের জবাবে সংসদ নেতা বলেন, সব ধরনের নাশকতা ও সহিংসতার সঙ্গে জড়িতদের আইনের আওতায় আনতে ও তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পুলিশসহ সব আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থাসমূহ পারস্পরিক সমন্বয়ের মাধ্যমে সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে।
শরিফুল ইসলাম শিমুলের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন এবং কোভিড-১৯ মহামারি অভিঘাত সত্ত্বে প্রতি ইঞ্চি জমি আবাদের আওতায় আনার নীতি গ্রহণ করে ফসল উৎপাদন বৃদ্ধির ধারা অব্যাহত রাখা হয়েছে। এ সময়ে বাংলাদেশ বিশ্বে ধান উৎপাদনে চতুর্থ স্থান থেকে তৃতীয় স্থানে উন্নীত হয়েছে। ফলে দেশের খাদ্য নিরাপত্তা সুদৃঢ় হয়েছে। এছাড়া সবজি উৎপাদনে তৃতীয়, আম উৎপাদনে সপ্তম, আলু উৎপাদনে অষ্টম, পেয়ারা উৎপাদনে অষ্টম স্থানে থেকে বাংলাদেশ আজ বিশ্বে কৃষি উন্নয়নে রোল মডেল।