নজর২৪, ঢাকা- করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করা হলেও অনেকেই তা না মানায় ঢাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত নামাতে যাচ্ছে সরকার। সবার মাস্ক পরা নিশ্চিত করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলোকে ইতোমধ্যে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম জানিয়েছেন।
সোমবার (১৬ নভেম্বর) মন্ত্রিসভা বৈঠকের পর সচিবালয়ে ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রিপরিষদ সচিব একথা জানান।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হসিনার সভাপতিত্বে ভার্চ্যুয়াল মন্ত্রিসভার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। গণভবন থেকে প্রধানমন্ত্রী এবং সচিবালয়ের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে মন্ত্রিসভার সদস্যরা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এই বৈঠকে অংশ নেন।
এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, কোভিড (করোনা ভাইরাস) নিয়ে বলা হয়েছে আরেকটু স্ট্রিক্ট ভিউতে যেতে হবে। সংক্রমণ একটু বেড়েও যাচ্ছে মনে হচ্ছে। সেজন্য আরেকটু সতর্কতা নেওয়ার জন্য বলা হয়েছে।
শীতে করোনার প্রকোপ বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কায় মাস্ক ব্যবহারে কঠোর হওয়ার নির্দেশনা দিয়ে আসছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরইমধ্যে খুলনাসহ কয়েকটি জেলায় মাস্ক ব্যবহারে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে জেল-জরিমানা করা হচ্ছে।
ঢাকায় করোনার বিষয়ে কোনো সেফটি মেজার্স দেখা যাচ্ছে না- এ বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, অলরেডি আমরা গতকাল (রোববার, ১৪ নভেম্বর) বলে দিয়েছি যাতে ঢাকাতেও বিভিন্ন জায়গায় মোবাইল কোর্ট বা ল-এনফোর্সিং এজেন্সি আরেকটু স্ট্রং হয়।
বৈঠকের এজেন্ডার বিষয়ে সচিব বলেন, ‘আমার বাড়ি, আমার খামার’ প্রকল্পের সুবিধাভোগীদের জন্য সঞ্চয় স্কিম করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। আর্থিক ব্যবস্থাকে পুরো ডিজিটালাজেশন কার্যক্রম আরও এগিয়ে নিতে ‘জাতীয় আর্থিক অন্তর্ভুক্তি কৌশল’ এর খসড়ার অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
এছাড়াও তুরস্কে রফতানি বাড়ানোর জন্য ‘বাংলাদেশ-তুরস্ক মিউচুয়াল অ্যাসিসটেন্ট ইন কাস্টমস ম্যাটার চুক্তি’ মন্ত্রিসভায় অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ১০০ মিলিয়ন ডলার রফতানি কমায় এই চুক্তি করা হয়েছে।
এছাড়া ‘জাতীয় পারমাণবিক ও তেজস্ক্রিয়তা বিষয়ক জরুরি অবস্থায় প্রস্তুতি ও সাড়াদান পরিকল্পনা’ খসড়ায় অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।