এক সময়ের মাঠ কাঁপানো দুদক কর্মকর্তা এখন চট্টগ্রাম ষোলশহর স্টেশনের প্ল্যাটফর্মে ছোট্ট দোকানের ক্যাশিয়ার। অবিশ্বাস্য হলেও সত্য, চাকরিচ্যুত আলোচিত দুদকের সাবেক উপ-সহকারী পরিচালক (ডিএডি) শরীফ উদ্দিন গত নয় মাস ধরে সামলাচ্ছেন ভাইয়ের কনফেকশনারি (দোকান)। থেমে নেই অপরাধীদের হুমকি-ধমকিও। তবে শরীফ উদ্দিনকে চাকরি দিতে চায় দেশের ৩৫টি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান।
তবে যে ‘কোম্পানির মাধ্যমে দেশ ও মানুষের সেবায় কাজ করতে’ পারবেন সেই কোম্পানিতে যোগ দেবেন বলে জানিয়েছেন শরীফ।
তিনি বলেন, ‘বুধবার পর্যন্ত দেশের ৩৫টি বড় বড় কোম্পানি আমার সঙ্গে যোগাযোগ করে চাকরি দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে।’
গত কয়েকদিনে বিভিন্ন গণমাধ্যমে দুদকের সেই শরীফকে নিয়ে সংবাদ প্রকাশিত হয়। এরপরই আবার আলোচনার কেন্দ্রে চলে আসেন শরীফ।
দুদকের সাবেক এ উপসহকারী পরিচালক বলেন, ‘মানুষের যে পরিমাণ ভালোবাসা পেয়েছি, তা কোনোভাবেই পরিশোধের নয়।’
জানা গেছে, উপ-সহকারী পরিচালক হিসেবে শরীফ উদ্দিন প্রায় সাড়ে তিন বছর দুদকের চট্টগ্রাম সমন্বিত কার্যালয়ে কর্মরত ছিলেন। তিনি সে সময় এনআইডি সার্ভার ব্যবহার করে রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশি ভোটার করার অভিযোগে ২০২১ সালের জুনে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) একজন পরিচালক, ৬ কর্মীসহ আরও ১০ জনের বিরুদ্ধে তিনি মামলা দায়ের করেন। এ মামলার পরপর ওই বছরের ১৬ জুন তাকে চট্টগ্রাম থেকে পটুয়াখালীতে বদলি করা হয়। এর আট মাসের মাথায় চাকরি থেকেও অব্যাহতি দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে শরীফ উদ্দিন সম্প্রতি সাংবাদিকদের বলেন, আমার বউ-বাচ্চা আছে। বর্তমানে আমি অসুস্থ। গত নয় মাস ধরে আমার চাকরি নেই। দুর্নীতি যদি করতাম, তাহলে বসে বসে খেতে পারতাম। জীবনের প্রয়োজনে ভাইয়ের দোকানের ক্যাশে বসে সংসার চালাচ্ছি।