নিলামের মাধ্যমে ২৫ কেজি সোনা বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকের মতিঝিল কার্যালয়। মোট ২৫ কেজি বা ২ হাজার ১৭০ ভরি সোনা বিক্রির প্রক্রিয়াটি চলতি মাসেই শুরু হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংক জানায়, আগামী ১৪ থেকে ২০ নভেম্বর পর্যন্ত আগ্রহী সনদপ্রাপ্ত স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা বাংলাদেশ ব্যাংকের মতিঝিল কার্যালয় থেকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ দুই হাজার টাকা জমা (অফেরতযোগ্য) দিয়ে দরপত্র শিডিউল ক্রয় করতে পারবেন।
পরে যাচাই-বাছাই করে নিলামে অংশ নেওয়ার জন্য যোগ্যদের তালিকা করা হবে। নিলাম নিয়ে মতিঝিল কার্যালয় চলতি মাসের শুরুতে গণমাধ্যমে বিজ্ঞাপন দিয়েছিল।
বিমানবন্দর এবং অবৈধ বা চোরাচালানের মাধ্যমে বিভিন্ন স্থান থেকে সোনা জব্দ করে থাকে গোয়েন্দা ও শুল্ক অধিদপ্তর। জব্দ করা এসব সোনা বাংলাদেশ ব্যাংকের ভল্টে জমা থাকে। মামলা নিষ্পত্তির পর রায় সরকারের অনুকূলে গেলে পরে সেসব সোনা নিলামের মাধ্যমে বিক্রি করা হয়ে থাকে।
বর্তমানে বাংলাদেশ ব্যাংকের অস্থায়ী খাতে প্রায় ২ হাজার ৯০০ কেজি সোনা রয়েছে। আর স্থায়ী খাতে রয়েছে ১৫৯ কেজি সোনা রয়েছে। স্থায়ী খাতের এ সোনা থেকে ২৫ কেজি সোনা বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
বহু বছর পর বাংলাদেশ ব্যাংক সোনা বিক্রির নিলাম করতে যাচ্ছে বলে জানালেন বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতির (বাজুস) পরিচালক এনামুল হক খান।
তিনি বলেন, দীর্ঘদিন পর মাত্র ২৫ কেজি সোনা নিলাম খুবই হতাশাজনক। কারণ, নিলাম তোলার মতো অনেক সোনা তাদের হাতে আছে। অল্প পরিমাণ সোনা বিক্রিতে বাজারে কোনো ইতিবাচক প্রভাব পড়বে না। তিনি আরও বলেন, ‘আইনি জটিলতার কারণে বৈধভাবে সোনা আমদানি হচ্ছে না। তবে প্রায়ই আমরা পত্র-পত্রিকায় অবৈধ সোনা জব্দ করার সংবাদ পাই। সেই সোনা বাংলাদেশে ব্যাংকের কাছে জমা থাকে। একটা নির্দিষ্ট সময় পরপর কেন্দ্রীয় ব্যাংক যদি সোনা নিলামে বিক্রি করত, তাহলে আমরা ব্যবসায়ীরা সোনার একটি উৎস পেতাম।’
এনামুল হক খান বলেন, ‘মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশ ব্যাংক জব্দ করা সোনার নিলাম করতে পারে না। আর একেকটি মামলা নিষ্পত্তি হতে ১০-১২ বছর লেগে যায়। তাই অনেক দিন আগেই নতুন আইন করার দাবি করেছি আমরা। যাতে জব্দ করা সোনার দ্রুত নিলাম করা যায়। পরবর্তী সময়ে মামলায় যদি কোনো ব্যবসায়ী জিতে যান, তাহলে তাঁকে বাজারদরে সোনা কিনে দিতে পারে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। যদিও ৯৯ শতাংশ মামলায় সরকারের জয় হয়।’