নজর২৪, ঢাকা- গত বৃহস্পতিবার রাজধানীর ৯টি স্থানে বাসে অগ্নিসংযোগের ঘটনা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, নির্বাচন বয়কটের নাম করে হঠাৎ বাসে আগুন দিয়ে দেশকে অস্থিতিশীল করতে চায় একটি মহল।
রবিবার (১৫ নভেম্বর) বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে জাতীয় সংসদের বিশেষ অধিবেশনে আনা সাধারণ প্রস্তাবের ওপর আলোচনার সমাপনী বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
বাসে আগুন দেওয়ার ঘটনায় বিএনপির জড়িত থাকার ইঙ্গিত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কোনও কথা নেই বার্তা নেই, হঠাৎ করে বাসে আগুন দিয়ে অগ্নিসন্ত্রাস। কেন, কী স্বার্থে? কিসের জন্য? নির্বাচন হয়। নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার নামে অংশগ্রহণ করে। টাকা-পয়সা যা পায়, পকেটে নিয়ে রেখে দেয়। ইলেকশনের দিন ইলেকশনও করে না। এজেন্টও দেওয়া না। কিছুই করে না। মাঝপথে ইলেকশন বয়কটের নাম দিয়ে, বাসে আগুন দিয়ে পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চায়। এটার উদ্দেশ্যটা কী?’
করোনা সংক্রমণের প্রসঙ্গ টেনে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘করোনাভাইরাসের কারণে আমাদের উন্নয়ন-কর্মকাণ্ড কিছুটা ব্যাহত হয়েছে। তবে এটাও আমরা মোকাবিলা করে চলছি। করোনার মধ্যেই এলো ঘূর্ণিঝড় ও বন্যা। এরই মধ্যে কোনও কথা নেই বার্তা নেই— হঠাৎ করে বাসে আগুন দিয়ে অগ্নিসন্ত্রাস।’
আজকে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে সরকার প্রধান বলেন, ‘একদিকে করোনা সামলাচ্ছি। অপরদিকে অর্থনীতির গতি যাতে সচল থাকে, তার ব্যবস্থা নিয়েছি। যেখানে যা দরকার আমরা মানুষের জীবন-যাত্রা যাতে সচল থাকে, সেই ব্যবস্থা নিচ্ছি।’
এর আগে গত সোমবার (৯ নভেম্বর) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতির পিতাকে শ্রদ্ধা জানাতে ১৪৭ বিধিতে সাধারণ প্রস্তাব উত্থাপন করেন। আলোচনাকালে জাতির পিতার কর্মময় জীবন তুলে ধরেন। এসময় জাতির পিতার কৃষক শ্রমিক আওয়ামী লীগ-বাকশাল গঠনের কারণ ও প্রেক্ষাপট বর্ণনা করেন বঙ্গবন্ধুকন্যা।