বিনোদন ডেস্ক- দীর্ঘ লড়াইয়ের পর অবশেষে হার মানলেন সত্যজিৎ রায়ের ফেলুদা। মৃত্যুর কাছে পরাজিত হলেন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়।
তাঁর মৃত্যুতে বাংলা চলচ্চিত্রের একটা যুগ যেন শেষ হয়ে গেলো। বাঙালি অনুরাগীকুলের প্রার্থনা আর হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফেরাতে পারলো না সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়কে।
রোববার (১৫ নভেম্বর) দুপুর ১২টা ১৫ মিনিট নাগাদ হাসপাতালেই শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। প্রবীণ অভিনেতার প্রয়াণের খবর প্রকাশ্যে আসতেই শোকের ছায়া বিনোদন জগতে।
হাসপাতালের পক্ষ থেকে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের মৃত্যুর বিষয়টি অফিশিয়ালি ঘোষণা করা হয়। ১৯৩৫ সালের ১৯ জানুয়ারি জন্ম নেওয়া এ অভিনেতার বয়স হয়েছিল ৮৬ বছর।
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ৬ অক্টোবর বেলভিউতে ভর্তি হন সৌমিত্র। তারও আগে তিনি ক্যানসারেও আক্রান্ত হয়েছিলেন। দুটো মিলে কখনও উন্নতি কখনও অবনতি, এই দোলাচলেই চলছিল সৌমিত্রের জীবন। এর মাঝেও প্লাজমা থেরাপি, শ্বাসনালিতে অস্ত্রোপচারসহ নানাভাবে অভিনেতাকে বাঁচানোর চেষ্টা করেন চিকিৎসকেরা।
ভালোই উন্নতির দিকে যাচ্ছিলেন সৌমিত্র। তবে ১৩ নভেম্বর থেকে তার শারীরিক অবস্থার আশঙ্কাজনক অবনতি ঘটে। হৃদযন্ত্র আর কিডনির জটিলতা অনেকটা বেড়ে যায়। বেড়ে যায় ‘হার্ট রেট’। সমস্ত অঙ্গপ্রত্যঙ্গ কার্যক্ষমতা হারিয়ে ফেলে।
শনিবার চিকিৎসকরা জানিয়ে দেন, অলৌকিক কিছু না ঘটলে সৌমিত্রের সুস্থ হয়ে ওঠা অসম্ভব। না, অলৌকিক কিছু আর ঘটেনি। রবিবার দুপুর নাগাদ ফেরেন না ফেরার দেশে ‘বেলাশেষে’ খ্যাত এই কিংবদন্তি।