ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় নায়িকা নিপুণ আক্তার। একটা সময় রূপালি পর্দায় তুমুল ব্যস্ততা ছিল তার। মাঝে কিছুটা নীরব ছিলেন। তবে বছর খানেক ধ্রএ আবারও ঢালিউডের আলোচনার কেন্দ্রে আছেন তিনি।
শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচনে অংশ নিয়ে সিনে-চর্চায় ফেরেন। এছাড়া সম্প্রতি এই অভিনেত্রীর নতুন সিনেমা মুক্তি পেয়েছে। শেষ করেছেন আরেকটি সিনেমার শুটিংও।
১৬ বছরের ক্যারিয়ার নিপুণের। শুরুতে কোনো স্ট্রাগল করতে হয়েছিল কী তাকে?, জানতে চাইলে নিপুণ একতি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, অবশ্যই স্ট্রাগল করতে হয়েছিল। কারণ এই জগতে আমার পরিচিত কেউ ছিল না। আমার জন্য নতুন জায়গা ছিল। সেজন্য কিছুটা স্ট্রাগল তো করতেই হয়েছিল। যেহেতু দেশের বাইরে পড়ালেখা করেছিলাম সেটা আমার এগিয়ে যেতে সহযোগিতা করেছে। বিষয়টিকে চলচ্চিত্রের সবাই খুব ইতিবাচক হিসেবে দেখেছেন।
তিনি বলেন, সিনেমায় আমার প্রাপ্তিই বেশি। পড়ালেখা শেষ করে চাকরি করলে একটি গণ্ডির মধ্যে থাকতাম। অল্প কিছু মানুষ আমাকে চিনতেন। কিন্তু, ঢাকাই সিনেমায় অভিনয় করার মাধ্যমে বাংলাদেশ এবং বাংলা ভাষার মানুষরা আমাকে চেনেন। অনেক মানুষের ভালোবাসা পাচ্ছি চলচ্চিত্রের শিল্পী হিসেবে। এসবই তো জীবনের বড় প্রাপ্তি।
একটি কথা প্রায়ই শোনা যায়- ফিল্মে পলিটিকস হয়… নিপুণ বলেন, দেখুন, বিশ্বের যে কোনো দেশের শোবিজে পলিটিকস আছে। সবাই চাইবে একটা ভালো জায়গায় যেতে। কিন্তু, আমি বিষয়টিকে ওভাবে দেখি না। আমি চাই প্রতিযোগিতার মধ্যে দিয়ে যেতে। প্রতিযোগিতার মধ্যে দিয়ে সামনে এগোলে কাজ ভালো হয়। একটা গ্রহণযোগ্য মাধ্যমে যাওয়া দরকার। তাহলেই সবকিছু সুন্দর হবে।