দেশের চলচ্চিত্রের বর্তমান সময়টা বেশ ভালো যাচ্ছে। বলা যায় ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে ঢালিউড। নতুন নায়কদের ছবি দেখতে দর্শক ভিড় করছেন সিনেমা হলে। যার প্রমাণ পাওয়া গেছে সম্প্রতি মুক্তি পাওয়া ‘পরাণ’, ‘হাওয়া’ সিনেমার ব্যবসায়ীক সফলতা।
নতুন নায়কদের সফলতায় অনেকে শাকিব খানের সঙ্গে তাদের তুলনা করছেন। তারা বোঝাতে চাইছেন, শাকিবের রাজত্ব শেষ। নতুনরা তার রাজত্বে ভাগ বসাবেন।
এমন কথাবার্তায় বেশ নাখোশ বরেণ্য চলচ্চিত্র পরিচালক কাজী হায়াৎ। তিনি মনে করেন, শাকিবের পর সুপারস্টার কবে আসবে— সেই নিশ্চয়তা নেই।
কাজী হায়াৎ বলেন, ‘সুপারস্টার মানে কী? যার নামের ওপর দর্শক সমাগম হয়, ছবির গল্প জানতে চায় না। আমরা দেখেছি, শাকিব যে ছবিই করত সেইসব সিনেমার মর্নিং শো হাউজফুল থাকত। এটাই ফিল্মের সুপারস্টারের সংজ্ঞা। শাকিব এখনও তাই আছেন। আর যারা দাবি করেন শাকিবের জায়গায় পৌঁছে গেছি, সুপারস্টার হয়েছি তারা ভুল ভাবছেন। তাদের ছবির গল্প ভালো বলে দর্শক দেখতে যায়। তাদের নামের ওপর তো যায় না। এটাই হচ্ছে শাকিবের সঙ্গে তাদের পার্থক্য।’
কাজী হায়াতের সুরেই কথা বললেন আরেক নির্মাতা এস এ হক অলিক। তিনি বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে শাকিব বাংলা চলচ্চিত্রকে একাই টেনে নিয়ে যাচ্ছেন। এ ক্ষেত্রে তার ভূমিকা অপরিসীম। তবে এখন আরও যারা কাজ করছেন তাদের অনেকেই ভালো অভিনয় করছেন। দেখা যাবে এরমধ্যেই হয়তো কেউ না কেউ ভবিষ্যতে ভালো অবস্থানে যাবেন। তবে এখন পর্যন্ত তিনি সুপারস্টার। এই মুহূর্তে তার বিকল্প নেই। আগামীতেও তার মতো সুপারস্টার পাওয়া কষ্টসাধ্য।’
এক যুগেরও বেশি সময় ধরে ঢালিউডে রাজত্ব করছেন শাকিব খান। তার নামেই সিনেমা চলে। সবশেষ এই নায়কের ‘গলুই’ শিরোনামের একটি সিনেমা মুক্তি পায়। এটি পরিচালনা করেছিলেন। সরকারি অনুদানে নির্মিত বিকল্পধারার এই সিনেমায় কিং খানের অভিনয় সবার নজর কাড়ে। শুধু তাই নয় যুক্তরাষ্ট্রের কয়েকটি অঙ্গরাজ্যে মুক্তি পেয়েছে এ ছবি। কুড়িয়েছে প্রশংসা।
শাকিব এখন নিজের প্রযোজিত ‘রাজকুমার’ সিনেমা নিয়ে বেশ ব্যস্ত। হিমেল আশরাফ পরিচালিত সিনেমাটির শুটিং হবে মার্কিন মুলুকে। নায়িকা থাকবেন সেখানকার। এর বাইরে ‘মায়া’ নামের সরকারি অনুদানের আরও একটি সিনেমা করবেন তিনি। ঢাকা মেইল।।