খাওয়ার পরে টক দই খেলে যা হয়

লাইফস্টাইল ডেস্ক
টক দই খাওয়া শরীরের জন্য উপকারী একথা কম-বেশি সবারই জানা। পুষ্টিবিদদের মতে, প্রতিদিন এক বাটি টক দই খেলে শারীরিক অনেক সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। দুপুরের খাবার খাওয়ার পরে এক বাটি টক দই খেলে তা শরীরের জন্য নানা উপকার বয়ে আনে। তবে খেয়াল রাখতে হবে, খুব বেশি যেন খাওয়া হয়ে না যায়।

 

দিনে ৩০০-৫০০ গ্রাম পর্যন্ত দই খাওয়া যেতে কিন্তু এর বেশি না খাওয়াই ভালো। প্রয়োজনের চেয়ে বেশি দই খেয়ে ফেললে তা শরীরে অত্যাধিক ক্যালসিয়াম সৃষ্টির কারণ হতে পারে। যা স্বাস্থ্যের জটিলতা বাড়াতে পারে। মনে রাখবেন, মিষ্টি দইয়ের থেকে টক দই খাওয়া বেশি উপকারী। জেনে নিন খাওয়ার পরে এক বাটি দই খেলে কোন উপকারগুলো মিলবে

 

ফ্যাট কমায়
ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে ফ্যাট এড়িয়ে চলেন অনেকে। আর টক দইয়ে ফ্যাট থাকে অনেক কম। যে কারণে এটি ওজন কমাতে সাহায্য করে। টক দই রক্তের কোলেস্টরল কমাতে বিশেষভাবে সহায়ক। তাই এটি কার্ডিওভ্যস্কুলার সমস্যা, স্ট্রোক এবং হৃদপিণ্ডের সমস্যার ঝুঁকি কমায়।

 

বদহজম দূর করে
খাবারে একটু এদিক-ওদিক হলে বদ হজমের সমস্যায় ভোগেন অনেকে। এই সমস্যা দূর করতে সাহায্য করতে পারে টক দই। টক দইয়ের ফারমেন্টেড এনজাইম খাবার হজমে সহায়তা করে এবং বদহজম প্রতিরোধ করে। নিয়মিত একবাটি করে দই খেলে ওজন কমার সম্ভাবনা প্রায় ২২ শতাংশ।

 

ওজন কমায়
ওজন কমানোর জন্য নানা প্রচেষ্টা থাকে নানাজনের। এক্ষেত্রে অন্যতম হাতিয়ার হতে পারে টক দই। টক দইয়ে ফ্যাট অনেক কম থাকে। এছাড়াও টক দইয়ের সঙ্গে ফল খাওয়ার অভ্যাস করতে পারলে ক্ষুধা বোধ কম হয়।

 

কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে
টক দইয়ের ল্যাকটিক কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। এটি যদি নিয়মিত খেতে পারেন তবে কোলন ক্যান্সারের ঝুঁকি কমে। দই হজমশক্তিও উন্নত করে। দই খেলে মানসিক চাপ এবং অ্যাংজাইটি কমতে শুরু করে।

 

উচ্চ রক্তচাপ দূরে রাখে
উচ্চ রক্তচাপের সমস্যায় ভোগেন অনেকেই। এটি দূরে রাখতে টক দইয়ের জুড়ি নেই বলতে গেলে। নিয়মিত টক দই খাওয়ার অভ্যাস করলে তা কোলেস্টরল এবং উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি কমায়। দইয়ে থাকা উপকারী ব্যাকটেরিয়া শরীরে প্রবেশ করার পর রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করে দেয়।

 

দেখলেন তো, প্রতিদিন দুপুরের খাবারের পরে এক বাটি টক দই খেলে কত উপকার মেলে! তাই এখন থেকে অন্যান্য স্বাস্থ্যকর অভ্যাস গড়ার পাশাপাশি দুপুরের খাবারের পরে এক বাটি টক দই খাওয়ার অভ্যাস করুন। সুস্থতার পথে অনেকটাই এগিয়ে থাকবেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *