স্পোর্টস ডেস্ক- আরেকটি বিশ্বকাপ অভিযান শুরু আর্জেন্টিনার, যেটিকে দেখা হচ্ছে লিওনেল মেসির শেষ সুযোগ হিসেবে। ২০২২ সালে কাতার বিশ্বকাপের মূল পর্বে খেলার সেই মিশনটা মেসির গোল দিয়েই রাঙিয়ে নিলো আলবিসেলেস্তেরা। ঘরের মাঠ বোকা জুনিয়র্সের স্টেডিয়াম লা বোম্বোনেরায় ইকুয়েডরের বিপক্ষে আর্জেন্টিনা পেয়েছে ১-০ গোলের জয়।
মাত্র দুই দিন অনুশীলন করে লাতিন আমেরিকা অঞ্চলের বিশ্বকাপ বাছাই শুরু করেছে আর্জেন্টিনা। খেলোয়াড়দের ভ্রমণক্লান্তি তো ছিলই, এর সঙ্গে করোনাবিধি নিয়েও ছিল কঠোরতা। তাছাড়া খেলার মূল যে শক্তি, সেই দর্শকও নেই গ্যালারিতে। নিজেদের মাঠ হলেও তাই কঠিন পরীক্ষার সামনে পড়ে আলবিসেলেস্তেরা। তাছাড়া গত রাশিয়া বিশ্বকাপে বাছাইয়ের শুরুর স্মৃতিও চোখ রাঙাচ্ছিল। এই ইকুয়েডরের বিপক্ষেই যে মেসিদের হার দিয়ে শুরু হয়েছিল সেবারের বিশ্বকাপ বাছাই!
তবে সব শঙ্কা উড়িয়ে দিয়ে জয়ে শুরু হয়েছে তাদের কাতার বিশ্বকাপের বাছাই। শুরু থেকে বলের নিয়ন্ত্রণ রেখে আক্রমণে ওঠা আর্জেন্টিনা ১৩তম মিনিটে এগিয়ে যায় মেসির পেনাল্টি গোলে। বার্সেলোনা তারকার পাস ধরে লুকাস ওকাম্পোস ওভারল্যাপ করে ঢুকে পড়েন ডি বক্সে। কিন্তু তাকে কড়া ট্যাকল করতে গিয়ে ইকুয়েডর ডিফেন্ডার পেরভিস এস্তুপিয়ান করে বসেন ফাউল। সঙ্গে সঙ্গে রেফারি বাজান পেনাল্টির বাঁশি।
স্পট কিক নিতে আসা মেসি ডান প্রান্ত দিয়ে বল জড়িয়ে দেন জালে। বল ইকুয়েডর গোলকিপারের হাতে ছোঁয়া দিলেও গতি থাকায় বিশ্বকাপ বাছাইয়ের মিশন মেসি শুরু করেন গোল উদযাপন করে।
তবে বিরতির আগে আরও কয়েকটি সুযোগ পেলেও ইকুয়েডরের রক্ষণের কাছে প্রতিহত হলে ব্যবধান বাড়ানো হয়নি আর্জেন্টিনার।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই ব্যবধান বাড়াতে পারতো আর্জেন্টিনা। তবে মেসির থেকে পাওয়া বল গোলমুখের একেবারে কাছ থেকেও শট নিয়ে বঞ্চিত হন ওক্যাম্পাসো। এই সেভিয়া তারকার জোরালো শটটি রুখে দেন ইকুয়েডর গোলরক্ষক আলেক্সান্দার দোমিঙ্গেস।
এরপর আরও বেশকয়েকটি সুযোগ পেলেও তা থেকে আর গোল আদায় করে নিতে পারেনি আর্জেন্টিনা। ফলে ১-০ গোলের জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে দলটি।