অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে হ’ত্যা’র পর বস্তায় ভরে রাখল পুলিশ স্বামী

নজর২৪, বাগেরহাট- বাগেরহাটের শরণখোলায় স্ত্রীকে হত্যার পর বস্তায় ভরে লাশ গুমের চেষ্টার অভিযোগে এক পুলিশ সদস্যকে আটক করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। তার নাম সাদ্দাম হোসেন।

 

বৃহস্পতিবার রাতে সাদ্দামকে আটক করে পুলিশ। পারিবারিক কলহের জেরে সাদ্দাম হোসেন তার স্ত্রীকে হত্যা করেছেন বলে জানা গেছে। জোৎসনার লাশ শরণখোলা থানা পুলিশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বাগেরহাট সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।

 

আটক সাদ্দাম শরণখোলা উপজেলার থাফালবাড়ী পুলিশ ফাঁড়িতে কর্মরত ছিলেন। তিনি সাতক্ষীরা জেলার আশাশুনি উপজেলার বড়ধাল গ্রামের আব্দুল লতিফ গাজীর ছেলে। সাদ্দাম হোসেনের দ্বিতীয় স্ত্রী ছিলেন জোৎসনা। তারা শরণখোলা সদরের একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন।

 

প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, পুলিশ সদস্য সাদ্দাম দুই বিয়ে করেছেন। প্রথম স্ত্রী সাতক্ষীরায় সাদ্দামের বাবা-মায়ের সঙ্গে থাকেন। আর দ্বিতীয় স্ত্রী জ্যোৎস্নাকে নিয়ে শরণখোলায় থাকতেন তিনি।

 

তাদের ভাষ্যমতে, জ্যোৎস্নার আগে আরও একটি বিয়ে হয়েছিল। সেই ঘরের ৬ বছরের একটি সন্তানসহ তাকে বিয়ে করেন সাদ্দাম। ৬ মাস আগে জ্যোৎস্না অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন। এরপর থেকেই আগের ঘরের সন্তান নিয়ে জ্যোৎস্নার সঙ্গে ঝগড়া হতো সাদ্দামের।

 

বাগেরহাটের পুলিশ সুপার পঙ্কজ চন্দ্র রায় বলেন, পারিবারিক কলহের কারণে সাদ্দাম হোসেন তার স্ত্রীকে হত্যা করতে পারে বলে ধারণা করছি। আমরা তাকে গ্রেফতার করেছি। হত্যার প্রকৃত কারণ উদঘাটনের চেষ্টা চলছে।

 

শরণখোলা থানার ওসি সাইদুর রহমান জানান, বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে সাদ্দাম তার স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। পরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলা কেটে লাশ পলিথিনে মুড়িয়ে বস্তায় ভরে লুকিয়ে রাখে। ওই রাতেই খবর পেয়ে পুলিশ শরণখোলার তাফালবাড়ি বাজার এলাকার মামুন ভিলায় অভিযান চালায়। সেখান থেকে সাদ্দামকে আটকের পর পরিত্যক্ত একটি ঘর থেকে বস্তাবন্দি জ্যোৎস্নার লাশ উদ্ধার করা হয়।

 

তিনি বলেন, সাদ্দাম হোসেনের দ্বিতীয় স্ত্রী ছিলেন জ্যোৎস্না। স্ত্রী ও তার ৬ বছরের ছেলেসন্তানকে নিয়ে ওই বাড়িতে ভাড়া থাকতেন তিনি।

 

তিনি আরও বলেন, নিহত জ্যোৎস্না ৬ মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। তার বাড়ি খুলনার রূপসা উপজেলায়। জ্যোৎস্নার আগের ঘরের সন্তান নিয়ে কলহের জের ধরে তাকে হত্যা করেছে বলে পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সাদ্দাম স্বীকার করেছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *