নজর২৪ ডেস্ক- নির্মাণের ২০ দিনের মাথায় আবারও পিচ উঠে গেছে ১৯ কোটি টাকার রাস্তা আর একটি অংশের। বুধবার সকালে কালীগঞ্জ-ডাকবাংলা সড়কের সিংদহ আলাইপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনের অংশে পিচ উঠে গেছে। স্থানীয়রা রাস্তায় হাত দিয়ে কার্পেটিং তুলে ফেলেছে। ২২ কিলোমিটার রাস্তার মাত্র তিন কিলোমিটার শেষ হওয়ার পর বিভিন্ন স্থানে তা উঠে গেছে। অনেক স্থানে ফেটে গেছে।
বিভিন্ন স্থানে এমনিতে গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী দিয়ে রাস্তার কাজ করায় এমনটি হয়েছে বলছেন সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলী ও স্থানীয় জনগণের। গত এক সপ্তাহ আগে এই রাস্তার শ্রীরামপুর অংশে প্রায় ১ কিলোমিটার অংশে কার্পেটিং উঠে যায়। যা নিয়ে ভাইরাল হলে ঠিকাদার সেই রাস্তার সম্পূর্ণ পিচ কার্পেটিং তুলে ফেলে। আবারও অন্য একটি অংশে পিচ একই ভাবে উঠে যাচ্ছে।
যদিও ঠিকাদারের দাবি, বৃষ্টির মধ্যে অল্প কিছু অংশে রাস্তার কাজ করার কারণে এমন হয়েছে। তবে, রাস্তা তৈরির তিন বছরের মধ্যে কোন ক্ষতি হলে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান তা ঠিক করে দেবেন বলে উল্লেখ করেছেন ঠিকাদার।
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ থেকে গান্না হয়ে ডাকবাংলা পর্যন্ত ২২ কিলোমিটার রাস্তা মজবুতিসহ ওয়ারিংয়ের কাজ চলছে তিন বছর ধরে। ২০ দিন আগে কালীগঞ্জ নীমতলা বাসস্ট্যান্ড থেকে পাকাকরণের জন্য কার্পেটিং বা পিচিকরণের কাজ শুরু করে। ৪ থেকে ৫ দিনে তিন কিলোমিটার কাজ শেষ করে। এরপর বৃষ্টির জন্য কাজ বন্ধ রাখে। কিন্তু এরই মধ্যে সড়কের শ্রীরামপুর এলাকার প্রায় এক কিলোমিটার অংশে রাস্তার পিচ ঢালাই উঠে গেছে। কোথাও বড় বড় ফাটলের সৃষ্টি হয়েছে। এভাবে থাকলে কয়েক মাসের মধ্যে তা সম্পূর্ণ উঠে যাবে বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীরা। একইভাবে বুধবার থেকে একই রাস্তার আলাইপুর, সিংদহ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এলাকায় রাস্তার কার্পেটিং উঠে যাচ্ছে।
সড়কটির কাজ দেখাশোনার দায়িত্বে থাকা প্রকৌশলী আনোয়ার হোসেন জানান, নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী ব্যবহারের কারণে এমনটি হয়েছে। তবে শিডিউল অনুযায়ী সড়কে কাজ শেষের তিন বছরের মধ্যে কোনো সমস্যা হলে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান পুনঃ মেরামত করবেন।
ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসক সরোজ কুমার নাথ জানান, এ ব্যাপারে আইনশৃঙ্খলা ও সমন্বয় সভায় আলোচনা হয়েছে। ইতিমধ্যে রাস্তার বিষয়ে মন্ত্রণালয়ে একটি চিঠি তিনি দিয়েছেন। এ ব্যাপারে তদন্ত চলছে এবং মন্ত্রণালয় থেকেও তদন্ত করবে।