নজর২৪, বরগুনা- বরগুনার আলোচিত শাহনেওয়াজ রিফাত (রিফাত শরীফ) হত্যা মামলায় মিন্নিসহ ফাঁ’সির দণ্ড’প্রাপ্ত ছয় আসা’মিকে বরগুনা জেলা কারা’গারের কনডেম সেলে রাখা হয়েছে। এই কনডেম সেলে রিফাত হত্যার ছয় আসা’মি ছাড়া অন্য কোনো বন্দিই নেই বলে জানিয়েছেন বরগুনা জেলা কারাগারের তত্ত্বাবধায়ক (জেল সুপার) মো. আনোয়ার হোসেন।
তিনি বলেন, এই মুহূর্তে বরগুনার কারাগারে নারী বন্দিদের মধ্যে একমাত্র মিন্নিই নির্জন কনডেম সেলে আছেন। মিন্নি ব্যতীত বরগুনার কারাগারের কনডেম সেলে অন্য কোনো নারী বন্দি নেই। এ ছাড়া রিফাত হত্যা মাম’লায় ফাঁ’সির দণ্ডপ্রাপ্ত অপর পাঁচ পুরুষ আসা’মিকেও কনডেম সেলে রাখা হয়েছে। এই পাঁচ পুরুষ বন্দি ব্যতীত বরগুনা কারা’গারের কনডেম সেলে আর অন্য কোনো পুরুষ বন্দিও নেই বলে উল্লেখ করেন জেল সুপার।
মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘মিন্নিকে রাখা হয়েছে নারী ওয়ার্ডের কনডেম সেলে। আর পুরুষ বন্দিরা আছেন পুরুষ ওয়ার্ডের কনডেম সেলে।’ তারা কনডেম সেলে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছেন জানিয়ে এই জেল সুপার আরো বলেন, কারাবিধি অনুযায়ী ছয় বন্দিকেই কনডেম সেলে থালা, বাটি ও কম্বল দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া প্রতি আসা’মিকে কারা’গারের পক্ষ থেকে দুই সেট পোশাক দেওয়া হয়েছে। এ পোশাক তারা পরিধান করবেন।
এদিকে বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) সকালে বাবা-মায়ের সঙ্গে ফোনে কথা বলার সময় কান্নাকাটি করেছেন মিন্নি। মিন্নির বাবা মোজাম্মেল হোসেন দুপুরে এ কথা বলেন। মিন্নির বাবা মোজাম্মেল হোসেন বলেন, ‘সকাল ১০টার দিকে মিন্নি (আয়শা সিদ্দিকা) আমার ও আমার স্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছে। সে খুব কান্নাকাটি করেছে। কারা’গারে সে ভালো নেই। তাঁকে একা একটি নির্জনকক্ষে রাখা হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমার মেয়ে নির্দোষ। একটি কুচক্রী মহল ষড়যন্ত্র করে আমার মেয়েকে এই মামলায় ফাঁ’সিয়েছে। একটি প্রভাবশালী মহলকে আড়াল করার জন্যই এটা করা হয়েছে। আমি রায়ের কপি পাওয়া আবেদন করেছি। এটি হাতে পেলে দ্রুত উচ্চ আদালতে এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করবে। আমি আশাবাদী আমার মেয়ে উচ্চ আদালতে নি’র্দোষ প্রমাণিত হবে।’
মোজাম্মেল হোসেন বলেন, ‘সারা দেশের মানুষ ভিডিওতে দেখেছে আমার মেয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তাঁর স্বামী রিফাত শরীফকে সন্ত্রা’সীদের হাত থেকে রক্ষার আপ্রাণ চেষ্টা করেছে। আহত রিফাতকে একাই হাসপাতালে নিয়ে গেছে। অথচ এই মাম’লায় আমার মেয়েকে ফাঁ’সানো হলো।’