নজর২৪ ডেস্ক- সিলেটের এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে ধর্ষণের ঘটনায় তীব্র নিন্দা এবং প্রতিবাদ জানিয়েছেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি আল-নাহিয়ান খান জয়। এ ঘটনার বিচার দাবি করে তিনি বলেআছেন, আমরা ছাত্রলীগের প্রত্যেক নেতাকর্মীকে নির্দেশ দিয়েছি ধর্ষকদের যেখানে পাওয়া যাবে যেখানেই তাদের ধরে আইনের হাতে তুলে দেবে। অপরাধী যেই হোক বিচার করতে হবে। বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কখনও এ ধরনের অন্যায়ের প্রশ্রয় দেয়না।
শনিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) এক ভিডিও বার্তা জয় বলেন, আপনারা দেখেছেন অনেক সময় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নাম ব্যবহার করেও অনেকে অনেক ধরনের অপকর্ম করেছে। এসব সুবিধাভোগীরা সংগঠন কিংবা দলের নাম ভাঙিয়ে অপরাধে জড়িয়ে পড়ে।
জয় বলেন, এমসি কলেজের ঘটনায় আমরা বাংলাদেশ ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে তীব্র নিন্দা এবং প্রতিবাদ জানিয়েছি। এ ঘটনায় যারা অভিযুক্ত তাদের কারো ছাত্রলীগের সাংগঠনিক কোন পদ-পদবী নেই। সেখানে ৭ বছর ধরে সংগঠনটির কোন কমিটিও নেই।
জানা গেছে, ২০০৯ সালে ছাত্রলীগের এমসি কলেজ কমিটি ঘোষণার পর আর কোনো কমিটি দিতে পারেনি সংগঠনটি।দীর্ঘদিন ধরে কমিটি না থাকলেও ক্যাম্পাস নিয়ন্ত্রণ করছে ছাত্রলীগের দুটি গ্রুপ। পদপদবী ছাড়াও একেক জন
ক্যাডারে পরিণত হয়ে চাঁদাবাজি, খুন, গুম করে সব সময় আলোচনায়। সর্বশেষ অপরাধের তালিকায় যুক্ত হয়েছে স্বামীকে আটকে রেখে স্ত্রীকে গণধর্ষণ।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার বিকেলে স্বামীর সাথে এমসি কলেজে বেড়াতে গিয়েছিলেন এক তরুণী। সন্ধ্যায় তাদের কলেজ থেকে ছাত্রাবাসে ধরে নিয়ে আসে ছাত্রলীগের ৫/৬ জন কর্মী। এরপর দুজনকে মারধর করে স্বামীর সামনেই স্ত্রীকে গণধর্ষণ করে তারা। রাতে ছাত্রাবাস থেকে এই দম্পত্তিকে উদ্ধার করে পুলিশ। পরে ধর্ষণের শিকার হওয়া নারীকে ওসমানী হাসপাতালের ওসিসি সেন্টারে ভর্তি করা হয়।
এ ঘটনায় শনিবার সকালে ৬ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাত ২/৩ জনের বিরুদ্ধে শাহপরাণ থানায় মামলা করেন ধর্ষিতার স্বামী।
মামলায় এজহারনামীয় আসামীরা হলেন, এম. সাইফুর রহমান, শাহ মাহবুবুর রহমান রনি, তারেক আহমদ, অর্জুন লঙ্কর, রবিউল ইসলাম ও মাহফুজুর রহমান। এদের সবাই ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত। আসামীদের মধ্যে তারেক ও রবিউল বহিরাগত, বাকিরা এমসি কলেজের ছাত্র।
ধর্ষণের ঘটনার পর রাতভর ছাত্রাবাসে অভিযান চালিয়ে বেশকিছু দেশি-বিদেশি অস্ত্র উদ্ধার করে পুলিশ। তবে আসামীদের কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি।