লাইফস্টাইল ডেস্ক- বদহজম হওয়া মোটেও আনন্দের কিছু নয়। বিভিন্ন কারণে বদহজম হয়ে থাকে। যার ফলে পেটে গ্যাস অনুভূত হওয়া, ফেঁপে থাকা কিংবা কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যা দেখা দেয় ।পেট ফেঁপে থাকলে পেট ব্যথাও হতে পারে। তবে চিন্তার কোনো কারণ নেই। আপনি নিজেই প্রাকৃতিক উপায়ে হজম ক্রিয়া বৃদ্ধি করতে এবং অস্বস্তিবোধ থেকে মুক্তি পেতে পারেন। হজমক্ষমতা বাড়ানোর পাঁচটি প্রাকৃতিক উপায় প্রকাশ করেছে টাইমস অব ইন্ডিয়া।
পরিমিত খাবার খাওয়া
আমরা যখন খাবার খাই তখন থেকেই পেরিস্টালসিস ডাইজেশন প্রক্রিয়াটি শুরু হয় এবং এটি খাদ্যনালীতে পৌঁছায়। আমরা কি পরিমাণ খাবার গ্রহণ করি তার ওপর ডাইজেশন (হজমক্রিয়া) ব্যাপারটা নির্ভর করে। যদি আমরা ডায়েট করি বা খুব কম খাবার খাই তবে কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে। সুতরাং, খাবার হজম হওয়ার জন্য, আমাদের পরিমিত খাদ্য খাওয়া দরকার।
চিবিয়ে খাবার খাওয়া
শিশুদের আমরা রাতের খাবার টেবিলে বলে থাকি আস্তে আস্তে খাবার খাওয়ার জন্যে যাতে সহজে ডাইজেশন হয়। ডাইজেশন হচ্ছে এমন প্রক্রিয়া যেখানে আপনার খাদ্যটি ক্ষুদ্রতম কণায় বিভক্ত হয়ে পুষ্টি হিসাবে আপনার দেহ দ্বারা শোষিত হবে। আপনি যখন খাবারটি চিবিয়ে ছোট ছোট টুকরো করে খাবেন তখন সেটি দ্রুত ডাইজেস্ট হতে সাহায্য করবে।
নিজেকে হাইড্রেট রাখুন
সারা দিনে পর্যাপ্ত পানি পান করুন। পানি খাবার ডাইজেশন হতে সহায়তা করে। এটি খাদ্য ভেঙে ফেলতে সহায়তা করে যাতে আপনার শরীর এটি থেকে পুষ্টি গ্রহণ করতে পারে। বিভিন্ন কারণে আপনার সঠিক পরিমাণে পানি পান করা উচিত। গড়ে প্রতিদিন কমপক্ষে চার লিটার পানি খেতে ভুলবেন না।
ডায়েটে ফাইবার জাতীয় খাবার রাখুন
ফাইবার জাতীয় খাদ্য আপনার ইনটেসটাইনের কার্যক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে। পর্যাপ্ত ফাইবার খেলে ডাইজেশন প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত হয়। ফুড ড্রাগ অ্যাসোসিয়েটেড প্রতিদিন খাবারে ২৮ গ্রাম ফাইবার জাতীয় খাদ্য রাখার পরামর্শ দেয়। আপনার প্রতিদিনের ডায়েটে ফাইবার খাবার বাড়ানো প্রয়োজন যেমন- শাক-সবজি, ফল, আস্ত শস্য, মটর, শিম ইত্যাদি।
নিয়মিত শরীরচর্চা করুন
মাঝে মাঝে যখন খুব অস্বস্তি বোধ করেন, তখন করণীয় হলো একটু হাঁটা-চলা করা। একটি গবেষণায় বিশ্রাম নেয়া ব্যক্তি এবং যারা শরীরচর্চা করেছেন তাদের মধ্যে খাবার ট্রানজিটের সময় তুলনা করে দেখা হয়েছে। যেসব লোকেরা শরীরচর্চা করেন যেমন- সাইক্লিং, দৌড়ানো বা হাঁটাচলা তারা খাবার ট্রানজিটের সময় ১৫ ঘণ্টা কমাতে সক্ষম। তাই আপনার কোষ্ঠকাঠিন্য বা গ্যাসের সমস্যা হলে হালকা শরীরচর্চা বা দ্রুত হাঁটার অভ্যাস করুন।