নজর২৪, ঢাকা- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের সাবেক সহ-সভাপতি (ভিপি) নুরুল হক নুরসহ ৭ জনকে আটকের পর মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ। ছাড়া পেয়ে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় নুর বলেন, আমরা বুঝিনি কী কারণে আমাদের ধরে আনা হলো আর কী কারণে ছাড়া হলো।
সোমবার (২১ সেপ্টেম্বর) রাতে বিক্ষোভ মিছিল থেকে নুরকে আটক করে পুলিশ। পরে তাকে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) হেফাজতে নেওয়া হয়। আটকের ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই নুরকে ছেড়ে দেওয়ার কথা জানানো হলেও পুলিশ প্রহরায় তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। প্রাথমিক স্বাস্থ্যগত পরীক্ষা শেষে তাকে আবারো নিয়ে যান ডিবি পুলিশের সদস্যরা। পরে রাত পৌনে ১ টার দিকে রাজধানীর মিন্টু রোডের ডিবি কার্যালয় থেকে নুরকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
ডিবি অফিস থেকে বেরিয়ে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় নুরুল হক নুর বলেন, আমাদের উপর অতর্কিত হামলা করা হয়েছে। মারধরের কারণে অনেকেই অসুস্থ হয়েছেন। পরে মুচলেকা নিয়ে আমাদেরকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। আমরা জানিনা কেন গ্রেফতার করা হলো আর কেন ছাড়া হলো।
তিনি বলেন, রাষ্ট্রযন্ত্রের কোনো অঙ্গের সঙ্গে কারো মিল নাই, কাজে-কর্মে মিল নাই। এ কারণে একজনে মারে, একজনে গ্রেফতার করে, আর আরেকজনে ছাড়ে, এটাই চলছে।
এই যে আজ আমরা মার খেলাম, আমরা তো কোন অপরাধী না। আমরা শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলনটা শেষ করে আসছিলাম। কিন্তু কোনোরকম উস্কানি ছাড়াই পুলিশ আক্রমণ করলো। আসলে আমরা বুঝি নাই, কী কারণে আমাদের ধরে আনা হলো, আর কী কারণে ছাড়া হলো।
প্রসঙ্গত, রবিবার (২০ সেপ্টেম্বর) রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী বাদী হয়ে রাজধানীর লালবাগ থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। মামলায় নুরসহ একাধিক জনকে আসামি করা হয়েছে। আসামিরা হলেন, হাসান আল মামুন, নাজমুল হাসান, নুরুল হক নুর, মো. সাইফুল ইসলাম, নাজমুল হুদা ও আবদুল্লাহ হিল বাকি। এরমধ্যে মূল অভিযুক্ত হাসান আল মামুন আর নুরের বিরুদ্ধে ধর্ষণে সহায়তার অভিযোগ আনা হয়েছে।
ধর্ষণের অভিযোগে দায়ের করা মামলার এজাহার গ্রহণ করেছেন আদালত। সোমবার ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বেগম ইয়াসমিন আরা এজাহার গ্রহণ করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ৭ অক্টোবর দিন ধার্য করেন। এজাহার দাখিলের জন্য পাঠান লালবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা। আদালত সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।