নজর২৪ ডেস্ক- স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তৃতীয় শ্রেণীর সাধারণ কর্মচারী হয়েও ঢাকার বিভিন্ন স্থানে একাধিক বিলাসবহুল বাড়ি, গাড়ি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়েছেন গাড়ি চালক আব্দুল মালেক ওরফে ড্রাইভার মালেক (৬৩)। জাল টাকার ব্যবসা ছাড়াও এলাকায় তিনি চাঁদাবাজিতে জড়িত।
শুধু তাই নয়, বিভিন্ন ব্যাংকে নামে-বেনামে বিপুল পরিমাণ অর্থ গচ্ছিত রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশের এলিট ফোর্স র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
রাজধানীর তুরাগ এলাকা থেকে অবৈধ অস্ত্র, জাল নোট ব্যবসা ও চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে রোববার ভোরে র্যাব-১ এর একটি দল আব্দুল মালেক ওরফে ড্রাইভার মালেক (৬৩) কে গ্রেপ্তার করে।
এ সময় তার কাছ থেকে একটি বিদেশী পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন, ৫ রাউন্ড গুলি, দেড় লাখ বাংলাদেশী জাল নোট, একটি ল্যাপটপ ও মোবাইল উদ্ধার করা হয়।
সূত্র জানায়, মালেকের স্ত্রীর নামে দক্ষিণ কামারপাড়ায় ২টি সাততলা বিলাসবহুল ভবন আছে। ধানমন্ডির হাতিরপুল এলাকায় ৪.৫ কাঠা জমিতে একটি নির্মাণাধীন ১০ তলা ভবন আছে এবং দক্ষিণ কামারপাড়ায় ১৫ কাঠা জমিতে একটি ডেইরি ফার্ম আছে। এছাড়াও বিভিন্ন ব্যাংকে নামে-বেনামে বিপুল পরিমাণ অর্থ গচ্ছিত আছে বলেও জানা গেছে। এভাবে শত কোটি টাকার মালিক বলে গেছেন তিনি।
র্যাব-১ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল শাফী উল্লাহ বুলবুল জানান, সাম্প্রতিক সময়ে র্যাবের প্রাথমিক গোয়েন্দা অনুসন্ধানে জানা যায়, আব্দুল মালেক সাধারণ মানুষকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে শক্তির মহড়া ও দাপট দেখিয়ে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে এবং জনজীবন অতিষ্ঠ করে তুলেছে। এলাকার সাধারণ মানুষের মনে সব সময় আতঙ্ক বিরাজ করে।
তিনি আরো জানান, জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে মালেক পেশায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিবহন পুলের একজন ড্রাইভার। তার শিক্ষাগত যোগ্যতা ৮ম শ্রেণি। ১৯৮২ সালে সর্বপ্রথম সাভার স্বাস্থ্য প্রকল্পে ড্রাইভার হিসেবে যোগদান করেন। পরবর্তীতে ১৯৮৬ সালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিবহন পুলে ড্রাইভার হিসেবে চাকরি শুরু করে। বর্তমানে তিনি প্রেষণে স্বাস্থ্য ও শিক্ষা অধিদপ্তরে কর্মরত আছেন। তিনি দীর্ঘ দিন যাবৎ অবৈধ অস্ত্র ব্যবসা, জাল নোট ব্যবসাসহ অস্ত্রের মাধ্যমে ভীতি প্রদর্শন করে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে বিপুল অর্থ হাতিয়ে নিয়েছে বলে স্বীকার করেছে। তার স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তির একটি আনুমানিক হিসাব র্যাবের কাছে রয়েছে যার পরিমাণ শত কোটি টাকার বেশি।