নজর২৪, মানিকগঞ্জ: মানিকগঞ্জে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এসে এক কিশোরী (১৫) ধর্ষণের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। সাটুরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভেতরে গত শুক্রবার (১১ সেপ্টেম্বর) রাতে ঘটনাটি ঘটেছে।
ধর্ষিতার পরিবার জানায়, গত ৩ সেপ্টেম্বর ওই কিশোরীকে জ্বর ও শরীর ব্যাথা নিয়ে সাটুরিয়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ধীরে ধীরে সুস্থ্য হয়ে উঠলে তাকে ১২ সেপ্টেম্বর হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র (ছুটি) দেওয়া হবে বলে রাতে নার্স তার পরিবারকে জানায়। ১১ সেপ্টেম্বর রাত আনুমানিক ১১টার দিকে হাসপাতালের এক যুবক তাকে ধরে নিয়ে ধর্ষণ করে।
ভুক্তভোগীর মা মেয়েকে বেডে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি করে বারান্দায় পড়ে থাকতে দেখেন। লক্ষ্য করেন মেয়ের রক্তক্ষণ হচ্ছে। বিষয়টি তিনি নার্সকে জানান। কর্তব্যরত নার্স কিশোরীর অবস্থা বেগতিক দেখে চিকিৎসক ডেকে আনেন। ওই চিকিৎসক অবস্থা খারাপ দেখে মানিকগঞ্জ ২৫০ শয্যা হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন।
তবে ভুক্তভোগীর বাবা বলেন, ধর্ষককে আমরা চিনি না। তবে হাসপাতালে মহিলা ওয়ার্ডে সিসি ক্যামেরা রয়েছে। ওই ক্যামেরার ফুটেজ দেখলে ধর্ষককে চেনা যাবে। মেয়ের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে এ কয়দিন মুখ বুঝে ছিলাম, কিন্তু বিবেকের তারণা সহ্য করতে না পেরে এখন অভিযোগ করছি।
ঘটনার সময় ডাক্তার বা নার্সদের ডেকে পাওয়া যায়নি বলেও তিনি অভিযোগ করেন।
এ বিষয়ে সাটুরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মামুনুর রশীদ জানান, অনাকাঙ্ক্ষিত এ ঘটনায় শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. সাদিককে প্রধান করে গত শনিবার সাত সদস্যের একটি কমিটি করা হয়েছে। দুই কর্ম দিবসের মধ্যেই রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে। হাসপাতালে ভেতরে এ ঘটনা যেই ঘটাক না কেন তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জানতে চাইলে এ বিষয়ে সাটুরিয়ার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আশরাফুল আলম বলেন, ‘চিকিৎসা নিতে আসা কিশোরীর সাথে এ ঘটনা অত্যন্ত ন্যাক্কারজনক । জঘন্যতম এ ঘটনায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কোনভাবেই দায় এড়াতে পারে না বলেও জানান তিনি।