নজর২৪ ডেস্ক- হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমির আল্লামা আহমেদ শফী মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। শুক্রবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানী ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। তার বয়স হয়েছিল ১০৪ বছর।
এদিকে মাওলানা আহমদ শফীর মৃত্যুর খবরে রাজধানীর আজগর আলী হাসপাতালে তার সমর্থক ও ভক্ত আলেম এবং মাদ্রাসার বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা স্লোগান দিচ্ছে। শুক্রবার (১৮ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে সাতটা থেকে আটটা পর্যন্ত হাসপাতালের সামনেই বিক্ষোভ প্রদর্শন করে তারা। সেখান থেকে ইসলামী ঐক্যজোটের একজন নেতা এ কথা জানান।
শুক্রবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সাড়ে ছয়টার দিকে আহমদ শফীর মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ার পরই হাসপাতালের সামনে ভিড় করতে থাকেন তার সমর্থকরা। ঢাকার আলেমরাও তার মৃত্যুর খবরে হাসপাতালে ছুটেন।
প্রত্যক্ষদর্শী এক আলেম জানান, আহমদ শফীর মৃত্যুর পর ঢাকার কিছু মাদ্রাসার আলেম, ছাত্র ও ইমাম তার মৃত্যুর জন্য হাটহাজারী মাদ্রাসার গত তিনদিনের বিক্ষোভকে দায়ী করেন। যদিও কোনও-কোনও আলেম বিষয়টি নিয়ে ভিন্ন কোনও মত প্রকাশ না করার আহ্বান জানিয়ে বক্তব্য রাখেন।
উপস্থিত কোনও-কোনও সমর্থক আহমদ শফীকে জাতীয়ভাবে জানাজা ও দাফনের দাবি করেন। এছাড়া কেউ-কেউ জানাজায় হেফাজত মহাসচিব জুনায়েদ বাবুনগরী যেন অংশগ্রহণ না করেন, সে দাবিতে স্লোগান দিতে দেখা গেছে বলে জানান একাধিক আলেম।
এর আগে ছাত্রদের বিক্ষোভের মুখে গতকাল বৃহস্পতিবার হাটহাজারী দারুল উলুম মাদ্রাসার মহাপরিচালকের পদ থেকে পদত্যাগ করেন আল্লামা শাহ আহমদ শফী। তাকে মজলিসে শূরা সদরে মুহতামিম পদ দেওয়া হয়। বুধবার দুপুর থেকে শুরু হওয়া ছাত্রদের বিক্ষোভের পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে দ্বিতীয়বারের মতো বৈঠকে মাদ্রাসার মজলিশে শূরা কমিটি এ সিদ্ধান্ত হয়। এছাড়া তার পুত্র আনাস মাদানীকেও মাদ্রাসা থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয় ওই বৈঠকে।
উল্লেখ্য, দেশের শীর্ষ কওমি আলেম আল্লামা আহমদ শফী ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপসহ বার্ধক্যজনিত রোগে ভুগছিলেন। এর আগেও কয়েকবার তাকে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছে। গত কয়েক মাসে শরীরে নানা জটিলতা দেখা দিয়েছিল তার।