ঢাকাই সিনেমার চিত্রনায়িকা শিরিন শিলা এবার আবেগের তাড়নায় লাখ টাকার ওপরে খরচ করে একটা শাড়ি কিনে ফেললেন। সেটি পরেই করলেন জন্মদিনের পার্টি। কিন্তু শাড়িতে এত পাথর ছিল যে, সেটি বহন করতে রীতিমতো হিমশিম খেতে হচ্ছিল নায়িকাকে।
মোটামুটি এক ঘণ্টা পরে থাকতে পেরেছিলেন সেই শাড়ি। এরপরই সেটি বদল করার জন্য অস্থির হয়ে ওঠেন। সেই থেকে পোশাকের ক্ষেত্রে সৌন্দর্য নয় বরং আরামকে বেশি গুরুত্ব দেন এই নায়িকা।
সম্প্রতি একটি সংবাদমাধ্যমে বিনোদন বিষয়ক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
শিরিন শিলা বলেন, কমফোর্ট ও সৌন্দর্যের মধ্যে আগে হচ্ছে কমফোর্ট। কারণ আমি যদি ক্যারি করতে না পারি, জিনিসটা যদি কমফোর্ট না দেয়, তাহলে সৌন্দর্য দিয়ে কী করব আমি। একবার এক লাখ টাকার ওপরে খরচ করে একটি শাড়ি কিনেছিলাম, কিন্তু সেটি এত পাথর দিয়ে তৈরি যে আমি এক ঘণ্টাও পরে থাকতে পারিনি। শাড়িটি দেখে মনে হয়েছিল কিনব, আবেগের তাড়নায় কিনেছি। কিন্তু সেটা আমি পরে থাকতে পারেনি। শুধু মনে হচ্ছিল, কখন আমি এটা খুলব! কখন পরিবর্তন করব! সৌন্দর্যের চেয়ে কমফোর্টেবল লাগাটা আমার কাছে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
নিজের পোশাকের ফিরিস্তিতে নায়িকা বলেন, আমার গাউন আছে ৩৫ থেকে ৪০টি। প্রায় একশ শাড়ি আছে। ৭০টির ওপরে জিন্সের প্যান্ট আছে; আরও বেশি হতে পারে। আমি কাপড়ের ব্যাপারে শৌখিন। তবে সবচেয়ে বেশি শখ জুতায়। আমার বাসায় অনেক জুতা। দেড়শ জোড়ার ওপরে হবে।
এত সব পোশাক গুছিয়ে রাখতে নারাজ এই নায়িকা। বললেন, আমার ওয়ার্ডরোবের সবকিছু এলোমেলো থাকে। কারণ আমি একেক দিন একেকটা ড্রেস পরি। আজ আমি যেটা পরেছি, এটা আগামী এক-দেড় বছর আর পরব না। তবে আমি রিপিট করে পরি। এমন নয় যে, আমি এই ড্রেসটা আর জীবনেও পরব না। অবশ্যই এটা পরব। দেখা যাবে ছয় মাসে একদিন অথবা এক বছরে একদিন এটা পরেছি। যদিও ছয় মাস পর আর খুঁজে পাই না।
তিনি আরও বলেন, আমার ওয়ার্ডরোবে এত ড্রেস যে রাখার জায়গা নেই। আমি কখন কোথায় কোন ড্রেস রাখি, নিজেও জানি না। আমি যখন ড্রেস খুঁজি, তখন সব ড্রেস বের করি। খুঁজে পেলে বাকিগুলো আর ভাঁজ করে রাখি না, ওরকম করেই রেখে দিই। আমার একটা ড্রেসও সুন্দর করে গুছিয়ে রাখা হয় না। এটাই আমার কাছে সহজ মনে হয়। খোঁজা, ভাঁজ করা, যত্ন করে রাখা— এত সময় নেই।