দীর্ঘ ছয় বছর পর মুক্তি পাচ্ছে জায়েদ খান অভিনীত কোনো সিনেমা। জাহিদ হোসেন পরিচালিত সেই সিনেমার নাম সোনার চর।
গতকাল বুধবার সিনেমাটির ছাড়পত্র দিয়েছে সেন্সর বোর্ড। জায়েদ খান অভিনীত শেষ সিনেমা অন্তরজ্বালা মুক্তি পায় ২০১৭ সালের ১৫ ডিসেম্বর। তারপর আর কোনো সিনেমা মুক্তি পায়নি এই চিত্রনায়কের।
সিনেমাটি সেন্সর ছাড়পত্র পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন প্রযোজক জাহাঙ্গীর সিকদার। তিনি বলেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ, কোনো প্রকার কর্তন ছাড়াই ছবিটি মুক্তির অনুমতি পেয়েছে। আমরা সামনে ভালো একটা দিনক্ষণ দেখে শিগগিরই ছবিটি মুক্তির পরিকল্পনা করছি। আশা করি ছবিটি দর্শকরা ভালোভাবে গ্রহণ করবেন।
এদিকে, ‘সোনার চর’ ছবির আনকাট সেন্সরে দারুণভাবে উচ্ছ্বসিত নায়ক জায়েদ খান। এই অভিনেতা জানান, ‘সোনার চর সিনেমাটি আনকাট সেন্সর পেয়েছে শুনে ভালো লাগছে। আশা করছি খুব তাড়াতাড়ি প্রেক্ষাগৃহে সিনেমাটি মুক্তি পাবে। এই ছবিতে আমাকে নায়ক নয় একজন অভিনেতা হিসেবে পাবেন দর্শকরা।’
জায়েদ খান আরও বলেন, ‘আমার ক্যারিয়ারে সবচেয়ে বেশি শ্রম দেওয়া সিনেমা সোনার চর। এ সিনেমায় আমি একজন মুক্তিযোদ্ধার চরিত্রে অভিনয় করেছি। চরিত্রটির নাম মানিক। ক্যারেক্টারটি ফুটিয়ে তুলতে প্রায় দুই বছর চুল কাটিনি। প্রতিটি দৃশ্যের প্রয়োজনে নিজেকে ভেঙেছি, গড়েছি। এখানে বদলে যাওয়া এক জায়েদ খানকে আবিষ্কার করবেন দর্শক।
ছবিটির জন্য নিজের ডেডিকেশন আর ঝুঁকি নেওয়ার কথা জানিয়ে এই অভিনেতা আরও বলেন, ‘চরিত্র ফুটিয়ে তুলতে কোনো ডামি ছাড়াই ঝুঁকি নিয়ে শুটিং করেছি। প্রত্যন্ত গ্রামে শীতের সকালে ঘণ্টার পর ঘণ্টা কাদা-পানিতে শুট করেছি। আবার পালানোর দৃশ্য করতে গিয়ে কুমির থাকা নদীতে লাফ দিয়ে সাঁতরে পার হয়েছি। যা ভাবতেই গা শিউরে ওঠে। বলতে গেলে ক্যারেক্টার ফুটিয়ে তুলতে সবরকম চ্যালেঞ্জ নিতে হয়েছে।’
ছবিটি নিয়ে নির্মাতা জাহিদ হোসেন বলেন, ‘ছবিটি স্বাধানতা পরবর্তী, বিশেষ করে ১৯৭৫ সালের পরবর্তী সময়ের। ছবিতে সে সময়কার গ্রাম-বাংলার চিরায়ত জীবন, প্রচলিত কুসংস্কার, প্রেম-ভালোবাসা ও সমকালীন রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট তুলে ধরা হয়েছে। ছবির প্রতিটি চরিত্রই ইউনিক। সবাই অনেক পরিশ্রম করেছেন।’