জয়া আহসানের পর এবার বাংলাদেশের আরও এক নায়িকা পা রাখছেন কলকাতার সিনেমায়। তিনি বহুল আলোচিত নায়িকা বুবলী। বাংলাদেশের পরিচালক রাশেদ শাহার থ্রিলারধর্মী সিনেমায় আরও অভিনয় করবেন কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়। এ প্রথম কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায় বাংলাদেশের পরিচালকের পরিচালনায় অভিনয় করলেন।
থ্রিলারধর্মী সিনেমাটির চিত্রনাট্য খায়রুল বাসার নির্ঝরের। ইতিমধ্যেই শেষ হয়েছে সিনেমাটির কলকাতা পর্বের শুটিং। কলকাতার পর্ব শেষে পরবর্তী শুটিং হবে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের ডুয়ার্সে।
সিনেমার গল্পটি এগিয়েছে একজন লেখককে কেন্দ্র করে। গল্প অনেকটা এ রকম, মঞ্চের এক সময়ের স্বনামধন্য ব্যক্তিত্ব অঞ্জন। বহুদিন তিনি সব ছেড়েছুড়ে সবকিছু থেকে দূরে। মাঝেসাঝে এখনো অঞ্জন অভিনয় করেন। তবে মঞ্চে কিংবা পর্দায় নয়, বাস্তবে। অন্যদিকে, ছবিতে অন্য এক চরিত্র ডিকে ভবঘুরে। কোথাও তার স্থায়ী ঠিকানা নেই। এই দুই চরিত্রের সঙ্গে তাল মিলিয়ে সমান গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র চলচ্চিত্র নির্মাতা শ্বেতা। তিন ভিন্ন ধারার মানুষকে জীবন অদ্ভুত ভাবে মিলিয়ে দেয়। পাহাড়ের প্রেক্ষাপটে তাদের দিনগুলো যেন রুপালি পর্দার থেকেও বেশি আকর্ষণীয় নিয়তি তাদের কোন পথে নিয়ে যাবে? তারই গল্প বলবে ‘ফ্ল্যাশব্যাকে’। ছবিতে ‘অঞ্জন’ কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়, ‘ডিকে’ সৌরভ দাস ও ‘চলচ্চিত্র নির্মাতা’ এর ভূমিকায় শবনম বুবলী।
সিনেমাটি নিয়ে পরিচালক রাশেদ রাহা বলেন, ‘আমি কৌশিক গাঙ্গুলির ভীষণ ভক্ত। নির্মাতার পাশাপাশি অভিনেতা হিসেবেও তিনি দুর্দান্ত। আর ডিকে চরিত্রে অভিনয় করা সৌরভ দাসের সঙ্গে আমার আগেও কাজ হয়েছে, তিনিও একজন ভালো অভিনেতা।’
ওপারের নায়িকার বদলে বুবলীকে নেওয়া প্রসঙ্গে রাশেদ রাহা বলেন, ‘চলচ্চিত্র নির্মাতা শ্বেতা চরিত্রটির জন্য আমাদের বিবেচনায় অনেকেই ছিল, তবে আমাদের মনে হয়েছে বুবলীর মধ্যে সেই ক্যালিবার আছে। সে যথেষ্ট পরিশ্রমী ও দায়িত্বশীল। এখন পর্যন্ত তাঁর যতগুলো দৃশ্য সম্পন্ন হয়েছে আমরা সন্তুষ্ট ও ভীষণ আশাবাদী।’
উল্লেখ্য, সিনেমাটি মুক্তি পাবে ভারতের বড় পর্দায়। এর যৌথ প্রযোজনায় আছে নারায়ণ চট্টোপাধ্যায় ও কাজী জাফরিন মুন।