সঙ্গীদের নিয়ে সরিষা ক্ষেতে পরীমণি

চারদিকে বিরাজ করছে শীতের আবহ। মাঠে মাঠে শোভা পাচ্ছে হলুদের বিশাল সমারোহ। কুয়াশা ও ঝলমলে রোদের খেলা এখন দিগন্ত বিস্তৃত হলদে বরণ সরিষার ফুলে ফুলে। দিগন্তজোড়া হলুদ রঙের সেই সরিষা ফুলের নয়নাভিরাম সৌন্দর্য দেখতে অনেকেই ছুটে যান।

সরিষা ক্ষেতের মাঝে দাঁড়িয়ে আবার অনেকেই ছবি তুলেন। সেই সব ছবি বেশ কিছু দিন ধরেই অনেকেই সামাজিকমাধ্যমে প্রকাশ করছেন। এবার সেই তালিকায় যুক্ত হলেন ঢাকাই সিনেমার নায়িকা পরীমণি। শুধু তিনি একাই নয়, হাজির হলেন দলবল নিয়ে।

ছবির লোকেশন ট্যাগ দেখে জানা গেল বরিশালের কোন একটি স্থানে ছবিগুলো তুলেছেন পরী। আর সঙ্গে রয়েছেন কয়েকজন বোন।

পরীমণি ছবিগুলো শেয়ার করে বিস্তর এক ক্যাপশন যুক্ত করেছেন। বোনদের উদ্দেশে শুরুতেই লেখেন, তোরা যখন আমার বয়সের হবি তখন আমার মতো করে তোদের ছোটদের সঙ্গেও এমন সুন্দর কিছু মেমোরি জীবনে বাঁধাই করে রাখিস। এসব পাগলামি জীবনকে আনন্দে বাঁচায়।

ছবিগুলোর পেছনের গল্পও যুক্ত করেছেন এই পোস্টে। পরীমণি লেখেন, ছবিগুলোর পেছনের গল্পটা অনেক অ্যাডভেঞ্চারাস ছিল। গাড়িতে বাবুকে (পরীর পুত্র রাজ্য) ঘুমে রেখে একটা আননোন মার্কেটে নাক, মুখ চাদরে ঢেকে নেমে পরলাম শাড়ি খুঁজতে। পাই না, পাই না, পাই তো পছন্দ মতো হয় না, যাই হোক হলো। হতেই হতো আর কি! এবার পালা শাড়ির ব্লাউজ! ওহ সেকি কাণ্ড! সেটাও ম্যানেজ করে ফেললাম শেষ মেষ।

যোগ করে তিনি আরও লেখেন, ওদিকে রোদ চলে যায় যায়। দুপুরের খাওয়া হয়নি তখনও। পেটে খিদে নিয়ে কি আর এমন সুন্দর মাঠে নেমে হিহি করা যায়। উড়ে এসে ঘরে ঢুকেই পেট ভরে হাঁসের মাংস দিয়ে ভাত খেলাম। তখন সূর্য গাছের নিচে! এর মধ্যে আমরা রেডি হয়ে মাঠে হিহি-হাহা করতে করতে এতো সুন্দর কিছু মুহুর্ত ধরে রাখতে পারলাম।

শেষের দিকে কথায় বোঝা গেল বোনদের আবদার রাখতেই এত খাটুনী পরীমণির। বিষয়টি তুলে ধরলেন এভাবে, ‘মোট কথা হলো ‘ও পরী আপু চলোনা সবাই এক রকম শাড়ি পরে সরিষার মাঠে ছবি তুলি!’ আর আমি এই মহাযজ্ঞটি ঘটিয়েছি দেড় ঘণ্টারো কম সময়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *