বাবা-মায়ের মৃত্যুর পর নানা শামসুল হক গাজীর অকৃত্রিম ভালোবাসাতেই বড় হয়ে ওঠেন ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেত্রী পরীমণি। তিনিই ছিলেন পরীমণির একমাত্র অভিভাবক।
নানার মৃত্যুতে শোকার্ত পরীমণি। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে পরীমণির শতবর্ষী নানা শামসুল হক গাজী চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন। শুক্রবার ভোর ৪টার দিকে গুলশানের আজাদ মসজিদে গোসল শেষে মরদেহ পরীমণির গ্রামের বাড়ি পিরোজপুরে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তার নানির কবরের পাশে তাকে দাফন করা হয়।
আজ শনিবার (২৫ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৮টার সময় পরীমণি তার ফেসবুক পেজ থেকে চারটি ছবিসহ একটি পোস্ট দেন। পোস্ট করা ওই ছবিতে দেখা যাচ্ছে, নানার কবরের সামনে সাদা পোশাকে বসে আছেন পরী।
পোস্ট করা এ ৪ ছবির সঙ্গে একটি আবেগী লেখাও জুড়ে দিয়েছেন অভিনেত্রী। যেখানে নানার মৃত্যুর পর নিজেকে এতিম অনুভব হওয়ার কথা জানিয়েছেন পরী। তবে শোক সহ্য করার ক্ষমতাও জানিয়েছেন তিনি। ফেসবুকে পোস্ট করা ওই লেখায় জীবনের চরম সত্য ‘মৃত্যু’ নিয়ে পরীর দৃষ্টিভঙ্গিও ফুটে উঠেছে। নানাকে হারানোর পর পরী মনে করেন, জীবন সুন্দর হলে মৃত্যু আরও বেশি সুন্দর।
স্ট্যাটাসে পরীমণি লিখেছেন, এই কবরস্থানে এখন তিনটা কবর। প্রথমটা আমার মায়ের। তারপর নানী আর এই যে আমার জানের মানুষটার কবর। নানু মরে যাওয়ার আগে নিজেকে আমার এতিম লাগে নাই কোনো দিন।
এই জীবনে আমার নানার মতন কেউ আমাকে ভালোবাসে নাই আর। যারা আমাকে খুব কাছ থেকে চেনেন তারা সবাই জানেন এই মানুষটা আমার জন্যে কি ছিলো। আজ হয়তো এই পরিবারের সবার থেকে ভেঙে পড়ার কথা ছিলো আমার। কিন্তু আমার নানা আমাকে সবার বট গাছ করে দিয়ে গেছে।
পরীমণি আরও লেখেন, এর থেকে বড় কোনো শোক আমার আর আসবে না। যদি আসে সব শোক সহ্য করার ক্ষমতা আল্লাহ আমাকে দিবেন এটা আমার নানুর দোয়া। কতো ভাগ্যে আমি আমার নানুর সঙ্গে তার শেষ কলেমা পড়তে পেরেছি! আহা নানুভাই কতো সান্ত্বনায় রেখে গেলো আমাকে। জীবন সুন্দর। মৃত্যু যে বড় সুন্দর।