ড. ইউনূসকে সহযোগিতা করতে যুক্তরাষ্ট্র থেকে আসছেন আইনজ্ঞরা

নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় তাকে আইনি সহযোগিতা করতে শীগ্রই বাংলাদেশে আসছেন যুক্তরাষ্ট্রের আইনজ্ঞরা।

সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) একটি সংবাদমাধ্যমকে এমন তথ্য জানিয়েছেন ড. ইউনূসের আইনজীবী ব্যারিস্টার আব্দুল্লাহ আল মামুন।

তিনি বলেন, ড. ইউনূস সাহেবের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলাগুলোর বিচারিক কার্যক্রম দেখতে আমেরিকার সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ও হিলারি ক্লিনটনকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর আমন্ত্রণে তাদের প্রতিনিধি দল বাংলাদেশে আসবে। এই দলে ৫ থেকে ৬জন সদস্য থাকতে পারেন।

তারা এদেশে এসে কী আদালতে লড়তে পারবেন? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, না। তারা এখানে এসে মামলা পরিচালনায় আইনজীবীদের সহযোগিতা করবেন। প্রয়োজনীয় আইনী পরামর্শ দেবেন। নোট দেবেন। যুক্তি দেবেন। সার্বিক বিষয়ে সহযোগিতা করবেন। খুব শীগ্রই তারা বাংলাদেশে আসবেন বলে জানা গেছে।

উল্লেখ্য, সম্প্রতি ড. ইউনূসের মামলা প্রত্যাহার করতে নোবেল বিজয়ীসহ বিশ্বের নেতৃস্থানীয় ১৬০ নেতা বিবৃতি দেন। সেই বিবৃতির জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বিবৃতি না দিয়ে বাংলাদেশে এসে বিচার দেখুন। অর্থনীতিবিদ নোবেল বিজয়ী প্রফেসর ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে ১৬৬টি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

গত ৬ জুন নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে এই মামলায় ড. ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হয়। অন্য তিনজন হলেন এমডি মো. আশরাফুল হাসান, পরিচালক নুরজাহান বেগম ও মো. শাহজাহানকে মামলায় বিবাদী করা হয়।

২০২১ সালের ৯ সেপ্টেম্বর ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের শ্রম পরিদর্শক আরিফুজ্জামান বাদী হয়ে ড. ইউনূসসহ চার জনের বিরুদ্ধে এ মামলা করেন। মামলায় শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনে নির্দিষ্ট লভ্যাংশ জমা না দেওয়া, শ্রমিকদের চাকরি স্থায়ী না করা, গণছুটি নগদায়ন না করায় শ্রম আইনের ৪-এর ৭, ৮, ১১৭ ও ২৩৪ ধারায় অভিযোগ আনা হয়। পরে ওই মামলার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে আবেদন করা হয়। একই বছরের ১২ ডিসেম্বর হাইকোর্ট মামলার কার্যক্রম স্থগিত করে রুল দিয়েছিলেন। এরপর রাষ্ট্রপক্ষ আপিল বিভাগে আবেদন করে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *