ঢাকাই চলচ্চিত্রের উজ্জ্বল এক নক্ষত্রের নাম বাপ্পারাজ। নায়ক রাজ রাজ্জাক তার পিতা। সেই পরিচয়ে নিজেকে তিনি আবদ্ধ রাখেননি। অভিনয়ে নিজের প্রতিভা ও মেধার বিকাশ ঘটিয়েছেন চলচ্চিত্রে। ১৯৮৬ সালে মুক্তি পাওয়া ‘চাপাডাঙার বউ’ ছবি দিয়ে তার চলচ্চিত্রে অভিষেক।
তিন দশকেরও বেশি সময়ের ক্যারিয়ারে বাপ্পারাজ অভিনয় করেছেন শতাধিক চলচ্চিত্রে। তবে দীর্ঘদিন ধরে তিনি সিনেমায় নেই। তবুও সিনেমা ইন্ডাষ্ট্রির অসঙ্গতি দেখলে মন কাঁদে তার। তাই মুখ খুলতেও ছাড়েন না।
এর আগে বহুবার শিল্পী সমিতির নানা বিষয় নিয়ে ক্ষোভও ঝেড়েছেন এই নায়ক। এবার তার অভিযোগের তির ছুটলে কথিত সাংবাদিক ও ভাইরাললোভী কিছু সেলিব্রেটির দিকে।
রোববার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি পোস্ট করেছেন বাপ্পারাজ। সেখানে তিনি লিখেছেন, ‘আজকাল সাংবাদিক হওয়া কোন ব্যাপার না। হাতে একটা স্মার্ট ফোন থাকলেই হলো। শিক্ষা বিদ্যাবুদ্ধির দরকার নাই কোন দায়বদ্ধতা নাই ক্যামেরা অন করে দাঁড়িয়ে পড়লেই হল। আবোল-তাবোল প্রশ্ন করবেন।’
সাংবাদিকদের সমালোচনা করেই ক্ষান্ত হননি বাপ্পা। নাট্যজন মামুনুর রশীদের আলোচিত বক্তব্যের প্রতিধ্বনি মিললো নায়ক বাপ্পারাজের কণ্ঠেও। তার কথায় উঠে এলো রুচির দুর্ভিক্ষের কথাও। বললেন, ‘আর সেলিব্রেটি হওয়া আরও সহজ, ওই সাংবাদিকদের সামনে একবার দাঁড়াতে পারলেই হলো তারপর মনে যা চায় আবোল-তাবোল বকবেন, আর তাতেই ভাইরাল, আপনি হিট বিশাল সেলিব্রেটি। আসলেই আমরা দুর্ভিক্ষের মধ্যে আছি।’
তার পোস্টের মন্তব্য করেছেন অনেকেই। মেহসিন রেজা সৌরভ নামের একজন লিখেছেন, ‘নানান স্বার্থচিন্তায় এইরকম চাঁছাছোলা সত্য কথা আমাদের তথাকথিত সেলিব্রেটিরা কেউই বলেন না। আপনার স্পষ্টবাদিতায় বরাবর মুগ্ধ হই, প্রিয় বাপ্পারাজ।’
আহমেদ আসিফ লিখেছেন, ‘আপনার পিতা কতো সংগ্রাম করে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিলেন। সেই যুগের সাথে এখনকার আকাশ-পাতাল তফাৎ।
নাঈমুর রহমান লিখেছেন, ‘ঠিক তাই। আমরা এখন চরম দুর্ভিক্ষের মাঝেই আছি।’