মারুফা আক্তারের বলে আমানজাত কৌর ঠিকঠাক লাগাতে পারলেন না। উইকেটের পেছনে দাঁড়ানো নিগার সুলতানা জ্যোতি ক্যাচ ধরতেই শুরু হলো বাংলাদেশের উল্লাস।
ব্যাটার অবিশ্বাসের চোখজোড়া নিয়ে পথ ধরলেন সাজঘরের। জমে যাওয়া জুটি ভাঙার পর অবিশ্বাস্য কিছু করা বাংলাদেশের জন্য ছিল স্রেফ সময়ের ব্যাপার। ম্যাচ জিততে বাকি কাজটাও ঠিকঠাকই করেছেন মেয়েরা।
রোববার মিরপুরের শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের প্রথমটিতে ভারতকে ৪০ রানে হারিয়েছে বাংলাদেশেরে মেয়েরা। ষষ্ঠবারের মতো মুখোমুখি হয়ে এবারই প্রথম ভারতকে ওয়ানডেতে হারালো বাংলাদেশ। গড়েছে ইতিহাস।
মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচটির দৈর্ঘ্য কমে নেমে আছে ৪৪ ওভারে। প্রথমে ব্যাট করে সফরকারীদের ১৫৩ রানের লক্ষ্য বেঁধে দেয় নিগার সুলতানারা। ইনিংসের তৃতীয় ওভারের ভারতীয় বিস্ফোরক ব্যাটার স্মৃতি মান্ধানাকে (১১) ফিরিয়ে দারুণ সূচনা এনে দেন পেসার মারুফা আক্তার। পরে এই পেসারের বোলিং তোপেই মুখ থুবড়ে পড়ে সফরকারীদের ব্যাটিং লাইনআপ। তাতেই চাপে পড়ে যায় সফরকারীরা। প্রিয়া পুনিয়া ১০, শ্রীমতি মান্ধানা ১১, হার্মানপ্রিত কৌর ৫ ও ইয়াসতিকা বাটিয়া ১৫ রান করেন।
সুবিধা করতে পারেননি জেমিমা রদ্রিগেজও। তার ব্যাট থেকে আসে ১০ রান। তবে ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে ভারতকে জয়ের স্বপ্ন দেখায় দিপ্তী-আমানজোত জুটি। কিন্তু টাইগ্রেস পেসার মারুফা আক্তারের এক ওভারেই সেই স্বপ্ন ভেঙ্গে যায়। টানা দুই বলে দুই ব্যাটারকে ফেরান তিনি। পরের ওভারের প্রথম বলে আরও একজনকে আউট করেন নাহিদা। তাতেই জয় প্রায় নিশ্চিত হয়ে যায় বাংলাদেশের। শেষ পর্যন্ত ১১৩ রানে থামে ভারত।
বৃষ্টি বিঘ্নিত ম্যাচটি শুরুতে টস জিতে বাংলাদেশকে ব্যাট করার আমন্ত্রণ জানান ভারতীয় দলনেতা হার্মানপ্রিত কৌর। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ১৮ বল খেলে কোনো রান না করেই সাজঘরের পথ ধরেন শারমিন আক্তার। আর ১৩ রান করেন মুর্শিদা খাতুন।
তৃতীয় উইকেট জুটিতে ইতিবাচক ব্যাট করতে থাকেন দলের দুই সিনিয়র ক্রিকেটার ফারজানা হক পিংকি ও নিগার সুলতানা জ্যোতি। দুজন মিলে গড়েন ৪৯ রানের জুটি। ৪৫ বলে ২৭ রান করে আউট হন পিংকি। ৮ রানে ফেরেন রিতু মনি। আর দলনেতা জ্যোতির ব্যাট থেকে আসে ৩৭ রান।
এরপর নাহিদা আক্তার ২, সুলতানা খাতুন ১৬ ও মারুফা ৬ রান করেন। আর ১২ রানে অপরাজিত থাকেন ফাহিমা খাতুন। ফলে বাংলাদেশের ইনিংস দাঁড়ায় ১৫২ রানে।