বাবাকে বুঝতে পেরেছি দুইবার, যখন আমি বাবা হয়েছি আর যখন বাবা চলে গেছে: নিশো

এবার ঈদে ঢালিউডে অভিষেক হলো আফরান নিশোর। এ নিয়ে তার অনুরাগীদের সে কী আনন্দ! অভিনেতার গ্রামের মানুষের উন্মাদনার শেষ নেই। এলাকার সন্তানের সিনেমা দেখতে অস্থায়ী হল বানানোর মতো মহা যজ্ঞ করে ফেলেছেন তারা।

বিষয়টি কাছে থেকে দেখতে গতকাল সোমবার নিজ জন্মস্থান ভূঞাপুর গিয়েছিলেন অভিনেতা। তাকে পেয়ে এলাকাবাসীর উচ্ছ্বাসের শেষ নেই। এই ভালোবাসা পেয়ে নিশোও আপ্লুত। তবে বুক চিরে বের হলো একটি আক্ষেপ। এই সাফল্য তার বাবা দেখে যেতে পারলেন্ না।

নিশো বলেন, “আমার প্রথম সিনেমা ‘সুড়ঙ্গ’র কারণে এলাকায় সবার সামনে এসেছি। এই দিনেও বাবাকে খুব বেশি মনে পড়ছে। আজকে আমি বড় পর্দায় কাজ করছি। আমার বাবা থাকলে কতো যে খুশি হতেন! বাবাকে আমি দুই সময়ে ঠিকঠাক বুঝতে পেরেছিলাম, এক- আমি যখন নিজে বাবা হয়েছি। দুই- যখন আমার বাবা চলে গেছেন! আপনারা যারা এখানে উপস্থিত হয়েছেন, তাদের বলি- বাবা-মায়ের প্রতি যে দায়িত্ব, সেটা ঠিকভাবে পালন করবেন। তাদেরকে সবসময় বুকের ভেতরে রেখে দেবেন। তাদেরকে কখনও কষ্ট দেবেন না। ”

আফরান নিশোকে এক ঝলক দেখতে আনুমানিক দশ হাজার মানুষ এদিন ভূঞাপুর পাইলট স্কুল মাঠে অবস্থান নেন। এসময় নিশো নিশো কলরবে আকাশ বাতাস কাঁপিয়ে তোলেন নিশো ভক্তরা।

পরে নিশো বলেন, কোথাও আগে শুনিনি যে এভাবে অস্থায়ী সিনেমা হল তৈরি করেছে। আমার এলাকাবাসী আমার জন্য করেছে। আজকে বড় পর্দায় কাজ করছি কিন্তু বাবা থাকলে অন্যরকম হতো। সে যে কত খুশি হত।

ভূঞাপুরে আগে দুটি সিনেমা হল থাকলেও এখন একটিও নেই। সেখানে নিশো ভক্তরা অস্থায়ী সিনেমা হল বানিয়ে সিনেমা দেখার সুযোগ করে দেয় এজন্য কৃতজ্ঞতা জানাতে ভুলে যান নি এই অভিনেতা।

নিশো আরও বলেন, আমি ছোট থেকেই ধীরে ধীরে কাজ করতে করতে নিজের যোগ্যতায় একটা জায়গায় এসেছি। এখন অনেকেই চেনেন আমার ‘নাম’। আমি বিভিন্ন চরিত্রে কাজ করতে পছন্দ করি। ভূঞাপুরে সিনেমা হল নির্মাণের সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হবে। যেখানে যেখানে যাওয়া দরকার প্রয়োজনে যাবো। সিনেমা হল আমরা বানাইয়া ছাড়বো।

সুড়ঙ্গ সিনেমার পরিচালক রায়হান রাফী বলেন, যখন শুনলাম ভূঞাপুরে নিশোর গ্রামের বাড়ি, সেখানে কয়েকজন মিলে হল বানাচ্ছে, এতে আমরা অবাক হয়েছিলাম। সাধারণত এটা হয় না কোথাও। আয়োজকদের ধন্যবাদ জানান তিনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *