খবর প্রকাশের পর তাহসানকে ‘আনফলো’ করে দিলেন সৃজিত মুখার্জী

তাহসান-সৃজিত-মিথিলা, এক অন্য সমীকরণ। অন্য এক সূত্রে গাঁথা এ সম্পর্ক। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও এ সম্পর্কের ঢেউ আছড়ে পড়ে তাই মাঝেমধ্যে। কে কার খোঁজ রাখেন তা বোঝা যায় এতেই।

ঘণ্টাখানেকও আগেও যে সূত্র ছিল এ সম্পর্কে, তা অবশ্য বদলে গেছে এখন। এতদিন ফেসবুকে তাহসানকে ফলো করে আসা সৃজিত বুধবার দুপুরের পর থেকে আর তাকে ফলো করছেন না।

টালিউডের পরিচালক সৃজিত মুখার্জী ফেসবুকে মাত্র একজনকেই ফলো করেন, সেটা আর কেউ নন, তিনি হলেন তার স্ত্রী রাফিয়াত রশিদ মিথিলার সাবেক স্বামী বাংলাদেশের সংগীতশিল্পী ও অভিনেতা তাহসান খান।

উপরের লাইনটা লিখতে গিয়েও একটু বদলে সংবাদমাধ্যমগুলোকে এখন লিখতে হচ্ছে ভিন্ন খবর। এরও অবশ্য কারণ আছে। এদিন সকালেও সৃজিতের ফেসবুকের ভেরিফায়েড পেজ থেকে তাহসানের ভেরিফায়েড পেজে ফলো দেয়া ছিল। বিষয়টি নিয়ে সংবাদ প্রকাশের পরই এই সংগীতশিল্পীকে আনফলো করে দিয়েছেন নির্মাতা। বুধবার দুপুরের পর থেকে সৃজিতের প্রোফাইলে তাহসানের নামটি আর দেখা যায়নি।

তবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একে অন্যেকে অনুসরণ না করলেও বাস্তব জীবনে বেশ ভালো সম্পর্ক তাহসান-সৃজিতের। বছর তিনেক আগে বাংলাদেশের একটি সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তাহসানের প্রশংসা করেন নির্মাতা।

সেসময় তিনি বলেন, ‘সত্যিই তাহসান আমার থেকে অনেক গুণী মানুষ। এত সুন্দর গান, এত সুন্দর পিয়ানো বাজান, এত সুন্দর অভিনয় করেন। ডেফিনেটলি আমি খুবই লাকি যে, এ রকম একটা কম্পারিজন উঠেছে। আমাকে বলতেই হবে যে, তাহসান একজন নিপাট ভদ্রলোক। ওনার সঙ্গে আমার আলাপ হয়েছে। আমাদের দেখা হলো যখন তাহসান এসেছিলেন আইরাকে (তাহসান-মিথিলার মেয়ে) নিয়ে বেড়াতে যেতে। তো খুব কথা হলো, আড্ডাও হলো। আমার এত ভালো লাগল।’

অন্যদিকে বছর দুয়েক আগে কলকাতার একটি গণমাধ্যমে সৃজিতকে নিয়ে তাহসান বলেন, ‘সৃজিত আমার খুবই প্রিয়। কারণ, তাকে আমার মেয়েরও খুব পছন্দ। যদিও আগে থেকেই সৃজিতের কাজ বেশ পছন্দ করি।’

উল্লেখ্য, ২০০৬ সালে ৩ আগস্ট বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন তাহসান ও মিথিলা। এই দম্পতির একমাত্র সন্তানের নাম আইরা তেহরীম খান। প্রায় ১১ বছরের সংসারের পর এই দম্পতির বিবাহবিচ্ছেদ হয় ২০১৭ সালের জুলাই মাসে। এরপর ২০১৯ সালের ৬ ডিসেম্বর সৃজিত মুখার্জিকে বিয়ে করেন মিথিলা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *