ছোট পর্দার সুপারস্টার আফরান নিশো। ঈদুল আজহার দিন তার অভিনীত ‘সুড়ঙ্গ’ সিনেমাটি মুক্তি পেয়েছে। এটি তার প্রথম সিনেমা। রায়হান রাফি নির্মিত এ সিনেমা দেশের ২৮টি প্রেক্ষাগৃহে প্রদর্শিত হচ্ছে। ঈদের প্রথম দিনেই ব্যাপক দর্শক সাড়া পাচ্ছে ছবিটি। সব বয়সীরা ভীড় করছেন ছবিটি দেখতে। এরইমধ্যে চাহিদার কারণে স্টার সিনেপ্লেক্সের এ সিনেমার শো বাড়ানো হয়েছে ১০টি।
প্রথম সিনেমায় অভাবনীয় সাড়া পেলেন। কখনও কি মনে হয়েছে, সিনেমায় অভিনয়ের সিদ্ধান্ত নিতে একটু বেশি সময় নিয়েছেন? এ প্রসঙ্গে আফরান নিশো বলেন, আমি মনে করি না, সিনেমায় অভিনয়ের সিদ্ধান্ত নিতে অনেক সময় নিয়েছি। এর আগেও অনেক সিনেমার প্রস্তাব পেয়েছি, কিন্তু সেগুলো আমার অভিনেতা সত্তাকে খুশি করতে পারেনি। তাই অপেক্ষায় থেকেছি কাঙ্ক্ষিত কাজ, সঠিক সময় ও সুযোগের। অবশেষে এই সময়ে এসে পেয়েছি ‘সুড়ঙ্গ’। ছবির গল্প ও চিত্রনাট্য পড়ে মনে হয়েছে, এই গল্পে বড় পর্দায় অভিষিক্ত হওয়া যায়। আর সেটাই করেছি।
‘সুড়ঙ্গ’ সিনেমার মাসুদ চরিত্রের জন্য যখন ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়েছেন, তখনকার অনুভূতি কেমন ছিল?, এ বিষয়ে তিনি বলেন, সিনেমায় প্রথম কাজ করছি– এই ভাবনাটা অন্যরকম এক অনুভূতির জন্ম দিয়েছিল। বহুকাল ধরে শুনে আসছি– প্রথম সবকিছু নিয়েই থাকে অন্যরকম ভালো লাগা, ভয়, আকাঙ্ক্ষা, স্বপ্ন বুননসহ অনেক কিছু। আবারও এ কথার উপলব্ধি হয়েছে ‘সুড়ঙ্গ’ সিনেমার শুটিংয়ে।
ছবির দৃশ্যধারণ নিয়ে নিশো বলেন, যখন আমি ছবির চিত্রনাট্য পড়েছি, তখনই জেনেছি, ‘সুড়ঙ্গ’-তে আমাকে ঢুকতে হবে। মানসিক প্রস্তুতিও নিয়ে রেখেছিলাম। আমরা সুড়ঙ্গের ভেতরের অংশটুকুর শুটিং করেছি চট্টগ্রামে। যখন লোকেশনে যাই, তখন ওই সুড়ঙ্গটা আরও ছোট ছিল। যখন দেখলাম আমার চেয়ে বেশি কষ্ট করছেন সিনেমার ক্রুরা, তখন আমার সব কষ্ট সহ্য হয়ে গিয়েছিল। প্রচণ্ড গরমের মধ্যে একেকটা শটের জন্য ২০ থেকে ২৫ মিনিট সুড়ঙ্গের ভেতর থাকতাম। ওই ২০-২৫ মিনিট আমার কাছে মনে হতো, দুই থেকে তিন দিনের পরিশ্রমের সমান।
অনেকে বলেন, কাজের বিষয়ে আপনি ভীষণ খুঁতখুঁতে… এ বিষয়ে জানতে চাইলে আফরান নিশো বলেন, আমি এমনই। তাই অভিনয়ে বাছবিচার করি ভালো কিছুর আকাঙ্ক্ষায়। বলে রাখি, আমি আরামপ্রিয় নই, পরিশ্রমী অভিনেতা।