বিদ্যুৎ খাতে আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়ন চিত্র তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, মাঝেমধ্যে লোডশেডিং দিয়ে বুঝিয়ে দেওয়া উচিত আগে কী ছিল, এখন কোথায় আছে।
শুক্রবার (২৩ জুন) আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত আলোচনা সভায় এ কথা বলেন তিনি।
বিএনপি ক্ষমতায় থাকতে দেশ কোথায় ছিল, আওয়ামী লীগের হাতে কোথায় এসেছে- এর একটা তুলনামূলক চিত্র তুলে ধরেন আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, আমরা বলেছিলাম শতভাগ বিদ্যুৎ দেবো, সেটা দিতে পেরেছি। সব ঘরে বিদ্যুতের আলো পৌঁছে দিয়েছি।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে আমদানি ব্যয় বেড়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, পাশাপাশি জ্বালানির দাম বেড়েছে এবং সংকটও দেখা দিয়েছে। যে কারণে কিছুটা সমস্যা হচ্ছে, সেটাও থাকবে না। তবে মাঝেমধ্যে বোধহয় লোডশেডিং দিয়ে বুঝিয়ে দেওয়া উচিত- কী ছিল, কোথায় আছে?
পলাশীর আম্রকাননে যে স্বাধীনতার সূর্য অস্তমিত হয়েছিল, আওয়ামী লীগের হাতে সেটি ফের উদিত হয়েছে মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই আওয়ামী লীগ এদেশের মানুষের অধিকার আদায়ে কাজ করেছে। যখন সংগঠনটি হয়, তখনো আমাদের নেতা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অধিকার আদায়ের আন্দোলনে অংশ নেওয়ার দায়ে জেলে ছিলেন।
তিনি বলেন, একসময় এ দেশের মানুষের নুন-ভাত জুটাতে কষ্ট হতো। তারা একটু নুন-ভাত চাইতো। তারপরে আসলো ডাল-ভাত। অন্তত মানুষকে আমরা এমন পর্যায়ে আনতে পেরেছি যে, এখন নুন-ভাত, ডাল-ভাত নয়, মাংস পাচ্ছে না সেটা নিয়ে কথা আসছে। অন্তত নুন-ভাত, ডাল-ভাত থেকে মানুষের চাহিদা তো মাংসতে উঠেছে।
তিনি বলেন, আমি জানি, মাংসের দাম বেড়েছে। কিন্তু মানুষের মাংস-ভাত খাওয়ার যোগ্যতা বা সেই সামর্থ্য সেটা তো স্বীকার করতে হবে। অন্তত এই জায়গা আনতে পেরেছি। চাহিদা তো বাড়াতে পেরেছি। বাড়াতে যেহেতু পেরেছি পূর্ণ করতে পারব। এতে কোনো সন্দেহ নেই।
দেশে কিছু জিনিসের দাম বেড়ে গিয়ে মানুষ কষ্ট পাচ্ছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কিছু লোকের মজুদ করার কারণে কিছু জিনিসের দাম বেড়েছে। তাদের এই স্বভাব বদলাতে হবে।