জনপ্রিয় অভিনেতা সিদ্দিকুর রহমান অভিনয়কে বিদায় জানিয়ে শুরু করেন রাজনৈতিক ময়দানে পদচারণা। ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে টাঙ্গাইল-১ (মধুপুর-ধনবাড়ী) আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন এই অভিনেতা। মনোনয়ন না পেলেও হাল ছাড়েননি, আবারও নির্বাচনে অংশ নেওয়ার আগ্রহের কথা জানিয়েছেন তিনি। তবে এবার টাঙ্গাইল নয়, ঢাকা-১৭ আসন (গুলশান-বনানী-ক্যান্টনমেন্ট) থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চাইবেন সিদ্দিক।
মঙ্গলবার (১৮ এপ্রিল) নিজ কার্যালয়ে এক আনুষ্ঠানিকতার মধ্য দিয়ে পোস্টার উন্মোচন করে নির্বাচনী প্রচারণার প্রাথমিক কার্যক্রম শুরু করেন তিনি।
জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার কথা জানিয়ে সিদ্দিক বলেন, এই আসনে ফারুক ভাই (নায়ক ফারুক) নির্বাচন করেছিলেন। এটা ভিভিআইপি এলাকা। এই আসনে শিল্পীরা নির্বাচন করেন। ফারুক ভাই যেহেতু এবার অসুস্থ তাই আমি এই আসন থেকে নির্বাচন করতে চাই। এরই মধ্যে আমি কার্যক্রম শুরু করেছি। আজ থেকে আমার নির্বাচনী প্রচারণা শুরু হচ্ছে। ঢাকা-১৭ আসন (গুলশান-বনানী-ক্যান্টনমেন্ট) থেকে সংসদ সদস্য হতে মনোনয়ন প্রত্যাশী আমি।
তিনি বলেন, জনগণের সেবা করতে চাই। যদিও অনেক আগে থেকেই এই সেবামূলক কার্যক্রম চালিয়ে আসছি। আমি সবসময় টাঙ্গাইল-১ আসনের মানুষের পাশে রয়েছি। তবে এবার ঢাকা-১৭ (গুলশান-বনানী-ক্যান্টনমেন্ট) আসন থেকেও মনোনয়ন প্রত্যাশী।
সিদ্দিক আরও বলেন, আমি জনগণের সেবা করতে চাই। যদিও অনেক আগে থেকেই এই সেবামূলক কার্যক্রম চালিয়ে আসছি। আমি সবসময় টাঙ্গাইল-১ আসনের মানুষের পাশে রয়েছি। তবে এবার আমি ঢাকা-১৭ (গুলশান-বনানী-ক্যান্টনমেন্ট) আসন থেকেও মনোনয়ন প্রত্যাশী।
যোগ করে সিদ্দিক বলেন, আমি মূলত মানুষের পাশাপাশি থাকতে চাই। মানুষের ভালোবাসা পেতে চাই, তাদের সেবা করতে চাই। জনগণের ভালোবাসা নিয়েই নির্বাচন করতে চাই। যদিও সামাজিক কার্যক্রম অনেক আগে থেকেই করছি। তবে রাজনৈতিক পরিচয় থাকলে সে ক্ষেত্রে কাজ করতে সুবিধা হয়।
সিদ্দিক জানান, তিনি গত ২৪ বছর ধরে আওয়ামী লীগ করছেন। আওয়ামীলীগপন্থী পরিবারে জন্ম হয়েছে। বাবা স্থানীয় আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন ২২ বছর। এলাকা কন্ট্রোল করতাম আমরা। ৯৪ সাল থেকে ছাত্রলীগ করছি। বঙ্গবন্ধু সংস্কৃতি জোটের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক থেকেছি।
সিদ্দিক আরও যোগ করে বলেন, আমার বিশ্বাস আছে দলের সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকেই মনোনীত করবেন। সবাইকে সাথে নিয়ে আমি এগিয়ে যাবার স্বপ্ন দেখেছি।