বিশ্ব সংস্থার যৌথ উদ্যোগে কো-চেয়ার হলেন প্রধানমন্ত্রী

নজর২৪ ডেস্ক- অ্যান্টিমাইক্রোবায়াল রেজিস্ট্যান্স, তথা মানবশরীরে রোগ সৃষ্টিকারী অণুজীবদের ওষুধ প্রতিরোধে হয়ে ওঠার বিষয়টি মোকাবিলায় নতুন একটি বৈশ্বিক উদ্যোগ গড়ে উঠেছে।

 

জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও), বিশ্ব প্রাণী সংস্থা (ওআইই) ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা— জাতিসংঘের এই তিনটি সংস্থার প্রধানদের নেতৃত্বে এই উদ্যোগটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘ওয়ান হেলথ গ্লোবাল লিডারস গ্রুপ অন অ্যান্টিমাইক্রোবায়াল রেজিস্ট্যান্স’।

 

ওষুধ প্রতিরোধী হয়ে ওঠা অণুজীবদের মোকাবিলায় জরুরি পদক্ষেপ নেওয়ার পাশাপাশি ভবিষ্যতে বিশ্বব্যাপী প্রয়োজনীয় ওষুধের সরবরাহ নিশ্চিত করার লক্ষ্য নিয়ে গঠিত প্ল্যাটফর্মটির কো-চেয়ারের দায়িত্ব পেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার সঙ্গে কো-চেয়ার হিসেব থাকছেন বার্বাডোজের প্রধানমন্ত্রী মিয়া মোত্তেলি।

 

ওষুধের বিরুদ্ধে জীবাণুদের ক্রমেই প্রতিরোধী হয়ে ওঠা বা ‘অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিসট্যান্স’ মোকাবিলায় জরুরি পদক্ষেপ বাস্তবায়নের জন্য কাজ করবে এই গ্রুপটি। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সরকার প্রধান এবং মন্ত্রীদের পাশাপাশি গ্রুপটির সদস্য হিসেবে রয়েছেন বেসরকারি খাত এবং নাগরিক সমাজের শীর্ষ পর্যায়ের প্রতিনিধিরা।

 

বিশ্ব জুড়ে পরিচিত এসব সদস্য নিজেদের নেতৃত্ব এবং প্রভাব কাজে লাগিয়ে জীবাণু ধ্বংসে সক্ষম ওষুধের প্রাপ্যতা নিশ্চিত করতে ভূমিকার রাখবে। একই সঙ্গে জীবাণুদের ওষুধ প্রতিরোধী হয়ে ওঠার মারাত্মক পরিণতির বিষয়ে বিশ্ববাসীর মনোযোগ আকর্ষণ করবেন তারা। এর পাশাপাশি ‘অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিসট্যান্স’ মোকাবিলায় জরুরি পদক্ষেপ নিতে সহায়তাও দেবেন প্লাটফর্মটির সদস্যরা।

 

বিশ্ব জুড়ে অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল সচেতনতা সপ্তাহ চলার মধ্যে যাত্রা শুরু করলো প্লাটফর্মটি। অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিসট্যান্স বিষয়ক আন্তঃসংস্থা সমন্বয় গ্রুপের পরামর্শে এবং জাতিসংঘ মহাসচিবের সমর্থনে প্লাটফর্মটি সৃষ্টি হয়।

 

ওষুধের বিরুদ্ধে জীবাণুদের ক্রমেই প্রতিরোধী হয়ে ওঠাকে বিশ্বের সবচেয়ে জরুরি হুমকি বলে বর্ণনা করেছেন জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস। মানুষ, প্রাণী, উদ্ভিদ এবং পরিবেশের স্বাস্থ্যের জন্য এই পরিস্থিতি খুবই মারাত্মক বলে বর্ণনা করেন তিনি।

 

জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, এই পরিস্থিতিতে বিপন্ন হতে পারে খাদ্য নিরাপত্তা, আন্তর্জাতিক বাণিজ্য, অর্থনৈতিক উন্নয়ন আর ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজিএস) বাস্তবায়নে অর্জিত অগ্রগতি। রোগ সৃষ্টিকারী জীবাণু ওষুধ প্রতিরোধী হয়ে উঠতে থাকলে স্বাস্থ্য সেবার ব্যয়, হাসপাতালে ভর্তি, চিকিৎসার ব্যর্থতা, অসুস্থতার তীব্রতা এবং মৃত্যু বাড়বে বলেও সতর্ক করেন তিনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *