স্পোর্টস আপডেট ডেস্ক- দুই ম্যাচের সিরিজে দুটি জয়ই প্রত্যাশা ছিল দর্শকদের। বাংলাদেশ দলের কোচ, খেলোয়াড়রাও বলেছিলেন জয়ের ধারা অব্যাহত রাখতে চান তারা। তবে সে প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেনি জামাল ভুঁইয়ার ডল।
কারণ, প্রথম ম্যাচের বাংলাদেশকে খুঁজে পাওয়া যায়নি আজ দ্বিতীয় ম্যাচে। যে কারণে নেপালের বিপক্ষে দ্বিতীয় ম্যাচে জয় না পেলেও, ড্র করে সিরিজ জিতে নিলো লাল-সবুজ জার্সিধারীরা।
আজ মঙ্গলবার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ ও নেপালের মধ্যকার মুজিববর্ষ ফিফা ফ্রেন্ডলি সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচটি গোলশূন্য ড্র হয়েছে। এর আগে গত শুক্রবার প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশ ২-০ গোলে হারিয়েছিল অতিথি দলটিকে।
দ্বিতীয় ম্যাচ ড্র করায় ২ ম্যাচের সিরিজ বাংলাদেশ জিতলো ১-০ ব্যবধানে। নেপালের পাওয়া দুই ম্যাচের সিরিজে একটি ড্র।
আজ প্রথম ম্যাচের একাদশে দুটি পরিবর্তন এনেছিলেন ভারপ্রাপ্ত কোচ স্টুয়ার্ট ওয়াটকিস। গোলরক্ষক আশরাফুল ইসলাম রানাকে এ ম্যাচে পুরো সময়ই খেলিয়েছেন কোচ। ডিফেন্ডার রিয়াদুল হাসানের পরিবের্ত একাদশে রাখা হয়েছিল অভিজ্ঞ ইয়াসিন খানকে।
প্রথম ম্যাচের মতোই এই ম্যাচ ঘিরেও ছিল দর্শকদের উত্তাপ। জামাল-সাদরা বল নিয়ে ছুটলেই দর্শকদের গগণবিদারি গর্জনে কেঁপে উঠত বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম। কিন্তু দর্শকের এমন সমর্থনেও নেপালের জাল ছুতে পারেনি জামালদের কোনো শট। বাংলাদেশ এগিয়ে যেত পারত ১৬ মিনিটের মাথায়। সাদ উদ্দিনের পাস থেকে প্রথম ম্যাচে গোল দেওয়া জীবনের শট লক্ষভ্রষ্ট হয়ে।
এর ৭ মিনিটের পর আক্ষেপের সুরে কেঁদে উঠেন মাঠ ভর্তি দর্শক। জীবনের দেওয়া পাস থেকে সুমন রেজার দুর্দান্ত শট নেপালের গোলবারের একটু উপর দিয়ে চলে যায়। একটু এদিক-সেদিক হলেই গোলের দেখা পেয়ে যেট লাল সবুজের প্রতিনিধিরা। ৩১ মিনিটে সাদ-জীবন হয়ে বল সুমনের কাছে আবারও মিস করেন তিনি। বিরতির একটু আগে সাদ ডি-বক্সের বাইরে থেকে দুর্দান্ত এক শট নেন। কিন্তু এটাও কোনো কাজে আসেনি।
বিরতির পর সুমন রেজার পরিবর্তে মাঠে আসেন প্রথম ম্যাচে দুর্দান্ত গোল দেওয়া মাহবুবুর রহমান সুফিল। এর চার মিনিট পরেই বিশ্বনাথের শট নেপালের জালের উপর দিয়ে যায়। তবে ৫৯ মিনিটে ইয়াসিন একটি স হজ গোল মিস করেন। এরপর সুযোগ পান জীবনও। শট নিলেই হতে পারত গোল; কিন্তু তার পাও খুঁজে পায়নি নেপালের জাল।
এভাবেই আক্রমণের পসরা আর মিসের মহড়ায় গোল শূন্য ড্র হয় ম্যাচটি। তবে ম্যাচের অন্তিম সময়ে অল্পের জন্য বেঁচে যায় বাংলাদেশ। শ্রেষ্ঠর হেড গোলরক্ষক রানার হাত ফসকে বের হয়ে গেলেও বাংলাদেশি ডিফেন্ডার দ্রুততার সাথে বল মাঠের বাইরে পাঠিয়ে দেন।
পুরো ম্যাচে বাংলাদেশের পায়ে বল ছিল ম্যাচের ৪৭ ভাগ সময়। অন টার্গেট শট ছিল একটি আর অফ টার্গেট পাঁচটি। অন্যদিকে নেপাল একটি অন-টার্গেট শটও নিতে পারেনি। তবে ম্যাচের ৫৩ ভাগ সময় তাদের পায়েই বল ছিল। প্রথমার্ধে বাংলাদেশ দুর্দান্ত খেললেও দ্বিতীয়ার্ধ কিছুটা খাপ ছাড়া দেখা গিয়েছিল। তবে শেষ পর্যন্ত স্বস্তির নিঃশ্বাস নিয়েই মাঠ ছাড়ে বাংলাদেশ।