স্বামীর ২০ লাখ টাকা নিয়ে ছাত্রলীগ নেতার সঙ্গে পালিয়েছে প্রবাসীর স্ত্রী

নজর২৪, বরিশাল- পরকিয়া প্রেমের সম্পর্কে বরিশালের মুলাদীতে উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী মুরাদ হোসেন প্রবাসীর স্ত্রী ও দুই সন্তানের জননী আছমা খানম লাকীকে নিয়ে পালিয়েছে।

 

এ সময় লাকী নগদ ২০ লাখ টাকা ও ৪ লাখ টাকা মূল্যের স্বর্ণালংকার নিয়ে গেছে বলে আছমার শ্বশুর অভিযোগ করেছেন।

 

আছমা উপজেলার চরকালেখান ইউনিয়নের ৭, ৮, ৯নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত সদস্য এবং চরকালেখান ইউনিয়নের আবুল হাসেম কাজীর ছেলে কুয়েত প্রবাসী মোতালেব কাজীর স্ত্রী। বর্তমানে তিনি কুয়েতে রয়েছেন। উপজেলার ষোলঘর গ্রামের আকতার খানের মেয়ে আছমা খানম লাকী।

 

কাজী মুরাদ উপজেলা সদরের মৃত আতাহার আলী কাজীর ছেলে। এ ঘটনায় মঙ্গলবার দুপুরে মুলাদী থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন লাকীর শ্বশুর।

 

জানা গেছে, প্রায় ১৭ বছর আগে দুবাই প্রবাসী মোতালেবের সঙ্গে আছমা খানম লাকীর বিয়ে হয়। দাম্পত্য জীবনে তাদের এক ছেলে ও মেয়ে রয়েছে।

 

আবুল হাশেম কাজী জানান, ২০১৬ সালে চরকালেখান ইউপি নির্বাচনে ছেলের বউ আছমা খানম লাকী সংরক্ষিত নারী সদস্য প্রার্থী হয়। ওই সময় উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী মুরাদের সঙ্গে তার পরিচয়। পরিচয়ের সূত্র ধরে তারা মুঠোফোনে প্রায় কথা বলতো। পরে লাকীর সঙ্গে পরকীয়া সম্পর্ক গড়ে তোলেন মুরাদ।

 

তবে লাকী ও মুরাদের পরকীয়ার বিষয়টি টের পায়নি ছেলে মোতালেব। কায়েক মাস পরকীয়ার বিষয়টি টের পাওয়ায় সন্তানদের কথা ভেবে লাকীকে অবৈধ সম্পর্ক ত্যাগ করতে বলেন। এতে তাদের মেলামেশা আরও বেড়ে যায়।

 

গত ১৬ নভেম্বর মোতালেব ফোন করে অবৈধ সম্পর্ক ত্যাগ করার অনুরোধ জানালে লাকী মুরাদকে জানায়। পরে ওই দিনই মুরাদ নগদ ২০ লাখ টাকা এবং চার লাখ টাকা মূল্যের স্বর্ণালংকারসহ লাকীকে ভাগিয়ে নিয়ে যায়।

 

আবুল হাশেম কাজী বলেন, বিষয়টি ওই দিনই ছেলেকে জানিয়েছি। পাশাপাশি ওই দিনই মুলাদী থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।

 

অভিযোগ পাওয়ার সত্যতা জানিয়ে মুলাদী থানার ওসি ফয়েজ উদ্দীন মৃধা জানান, বিষয়টি তদন্ত করে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করার প্রক্রিয়া চলছে।

 

বরিশাল জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক জানান, মুলাদী উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী মুরাদ হোসেনের বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়টি শুনেছি। তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।

 

উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী মুরাদ হোসেনের সাথে যোগাযোগের জন্য তার ব্যবহৃত মোবাইলে কল দেয়া হলে তা বন্ধ পাওয়া যায়। এজন্য তার মন্তব্য দেয়া সম্ভব হয়নি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *