আজ আমার সার্জারী হওয়ার কথা! যখন ইমিডিয়েটলি সার্জারী করতে হবে জানলাম একটু টেনশনে পরলাম, কে যাবে আমার সাথে!
আমার বড় বোন দিল্লী থাকে, এইটা একটা ব্যাপার কিন্তু হাসপাতালে থাকার জন্য কাউকে লাগবে। আমার মেঝ বোনই সব সময় এই কাজগুলো করে, কিন্তু আমার ছোট ভাইগ্নার ফাইনাল পরীক্ষা আপু আসতে পারবে না।
আর আমার আম্মুর যে শারীরীক অবস্থা আম্মুর পক্ষেও এসে থাকা সম্ভব না। তখন আমার বড় ভাগ্না নিজ থেকে বলে আমি যাবো!
আমার বড় ভাগ্না-ভাগ্নির সাথে আমার বয়সের যে পার্থক্য তাতে কোনদিনই তারা আমাকে খালা কনসিডার করে নাই! আমরা সবসময়েই বন্ধু! কিন্তু এখন সে আমার গার্জিয়ান।
ওমরাহতে যাওয়ার যখন কথা হচ্ছিল তখন আলোচনা হচ্ছিল ওছাড়া আমার আর কোন মহর্রম নাই, যেহেতু আমার বাবা/ভাই/স্বামী কোনটাই নাই! কিন্তু এতো আগে আগেই সিমান্তর তার খালার দায়িত্ব নেয়া লাগবে বুঝি নাই।
সবার ঘরে আমার ভাগ্না/ভাগ্নির মতো responsible ভাগ্না/ভাগ্নি আসুক! পরিবার কত বড় রহমত বিপদ না আসলে বুঝা যায় না!
সমস্যা একটাই কোনভাবেই বিশ্বাসযাগ্য না যে, এই ভদ্রলোকের খালা আমি! আরো ৪/৫ বছর আগেই একবার বাসায় কম্পেইন আসছিল, কোন ছেলের হাত ধরে নাকি আমাকে হাটতে দেখা গেছে! পরবর্তিতে জানা গেছে সেই ছেলে আর কেউ না, আমার বড় ভাইগ্না সীমান্ত! কই যাবো?
(অভিনেত্রী শবনম ফারিয়ার ফেসবুক থেকে সংগৃহীত)