ওপার বাংলার আলোচিত অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্র। অভিনয়ের চেয়ে নিজের ব্যক্তিগত জীবনকে ঘিরেই চর্চায় বেশি থাকেন যিনি। বিভিন্ন বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভক্তদের সঙ্গে নিজের মনের কথা শেয়ার করেন তিনি। এ জন্য যেমন আলোচনায় থাকেন, তেমনি সমালোচনারও জন্ম দেন।
যেকোনো বিষয়েই অত্যন্ত সুস্পষ্ট এবং খোলামেলা বক্তব্য রাখেন অভিনেত্রী। সে কারণেই তাঁকে অনেকে ঠোঁটকাটা, স্পষ্টবাদী বলে থাকেন। আর তিনি স্পষ্ট ভাষায় কথা বলেন বলেই টলিউড তথা বাংলা ইন্ডাস্ট্রিতে তাঁর বন্ধুর সংখ্যা যথেষ্ট কম।
একাধিকবার শ্রীলেখা মিত্র এমন অনেক মন্তব্য করেছেন যার কারণে অনেকেই তাঁর ওপর ক্ষিপ্ত হয়েছেন। এর আগেও অভিনেত্রীর মুখে টলিউডের নানা ডার্ক সিক্রেটের কথা শোনা গিয়েছিল। প্রকাশ্যে এনেছিলেন টলিউডের অজানা দিক। সেটা ভাইরাল হয়ে যায়। সম্প্রতি তেমনই একটি ভিডিও নতুন করে ভাইরাল হয়েছে।
হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়, একটি ইন্টারভিউতে অভিনেত্রীকে জিজ্ঞেস করা হয় তিনি কেন কম কাজ করেন! সে বিষয়ে অভিনেত্রী বলেছিলেন, তিনি বাকিদের মতো তেল দিতে পারেন না। আর টলিউডের অনেকেরই আত্মসম্মান নেই। সে কারণেই বাকিদের তুলনায় তিনি কম কাজ পান। তবে তাই বলে তিনি নিজেকে বদলাতে চাননি। যেটা তাঁর মন বলে, তিনি সেটাই করেন।
সেই ইন্টারভিউতে অভিনেত্রী বলেছিলেন টলিউডে দুটি সিনেমা তখনই বাঁধা হয়ে যায় যখন একজন অভিনেত্রী কোনো অভিনেতা তথা হিরো বা ডিরেক্টরের সঙ্গে প্রেম করেন। শ্রীলেখা সেটা করেননি বলেই কি তিনি বরাবর প্রসেনজিতের বোন হয়ে রয়ে গেলেন?
অভিনেত্রী জানান, সে সময় প্রসেনজিৎ মানেই ইন্ডাস্ট্রি ছিল, তাঁর সঙ্গে একাধিক অভিনেত্রীর সুসম্পর্ক ছিল। কিন্তু নায়িকার সঙ্গে হয়তো জুটি হিসেবে ততটা কম্ফর্টেবল ছিল না। এরপর কোনো কারণে হয়তো তিনি আর কাজ করতে চাননি। অভিনেত্রী মনে করেন, পর্দায় জুটি বেঁধে কাজ করতে গেলে একটা প্রেম থাকা দরকার, যেমন উত্তম-সুচিত্রার জুটি। কিন্তু যেই সবাই বাডি হয়ে যায় তখনই গোল বাধে। তাই আর প্রেম করা হলো না।
এই ইন্টারভিউতে যখন তাঁকে কাস্টিং কাউচের বিষয়ে জিজ্ঞেস করা হয় তিনি বলেন, তাঁর একটি হিন্দি ছবিতে গোবিন্দর সঙ্গে কাজ করার কথা ছিল। সাবস্ক্রিপ্ট পড়ে শোনানোর জন্য তাঁকে ডাকা হয়েছিল। নায়িকা তাঁর ভাইয়ের সঙ্গে সেখানে গিয়েছিলেন বলে জানান। সেখানে গিয়ে খাওয়া, আড্ডা হলেও কাজের কাজ হয়নি।
তিনি এ প্রসঙ্গে বলেন, দুজন স্টেপ না নিলে এগোনো যায় না এ ক্ষেত্রে। তাঁর মতে, আসলে ‘ইন্ডাস্ট্রিতে ধ’র্ষণ হয় না। কেবল কারো ইচ্ছাকে উসকে দেওয়া হয়। এখানে কাস্টিং কাউচ আছে, তবে এখানে যা কিছু হয়, দুজনের ইচ্ছায় হয়।’