নজর২৪, সিলেট- সিলেটের এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে গৃহবধূকে গণধর্ষণের ঘটনার মামলার আসামি কলেজ শাখা মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের সভাপতি রবিউল হাসানের পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
সোমবার (২৮ সেপ্টেম্বর) বিকেলে সিলেট মহানগর হাকিম দ্বিতীয় আদালতের বিচারক মো. সাইফুর রহমান এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা ও দায়রা জজ আদালতের এপিপি খোকন কুমার দত্ত। এসময় রবিউলের পক্ষে কোন আইনজীবী ছিলেন না।
এর আগে এমসি কলেজের ছাত্রাবাসে স্বামীকে বেঁধে নববধূ ধর্ষণের ঘটনায় ছাত্রলীগ কর্মী সাইফুর রহমান ও অর্জুন লস্করের ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। আজ দুপুরে সিলেট মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রট ২য় আদালতের বিচারক সাইফুর রহমান তাদের এই রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
গ্রেফতারকৃত সাইফুর রহমান, অর্জুন লস্করকে হাজির করে ধর্ষণ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শাহপরাণ থানার ওসি (তদন্ত) ইন্দ্রনীল ভট্টাচার্য আদালতে ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালতের বিচারক ৫দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
আরও পড়ুন- সিলেট আদালতে ধর্ষকদের পক্ষে দাঁড়াননি কোন আইনজীবী
এর আগে রোববার সকালে সাইফুরকে সুনামগঞ্জ জেলার ছাতক উপজেলা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। অপরদিকে পৃথক এক অভিযানে একই দিন সকালে হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার মনতলা থেকে অর্জুন লস্করকেও গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃত সাইফুর রহমান বালাগঞ্জ উপজেলার চান্দাই পাড়া গ্রামের বাসিন্দা তাহমিদ মিয়ার ছেলে আর অর্জুন জকিগঞ্জ উপজেলার আটগ্রাম গ্রামের কানু লস্করের ছেলে। এছাড়া রোববার (২৭ সেপ্টেম্বর) রাতে হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ থেকে শাহ মো. মাহবুবুর রহমান রনিকে গ্রেপ্তার করে র্যাব আর নবীগঞ্জ থেকে রবিউল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃত শাহ মো. মাহবুবুর রহমান রনি হবিগঞ্জ সদর থানার বাগুনীপাড়ার শাহ মো. জাহাঙ্গীর মিয়ার ছেলে আর রবিউল ইসলাম (২৫) সুনামগঞ্জ জেলার দিরাই থানাধীন বড়নগদীপুর (জাগদল) গ্রামের বাসিন্দা।
অন্যদিকে রোববার দিবাগত রাত ১ টার দিকে গণধর্ষণের ঘটনায় রাজন নামে এক ছাত্রলীগ নেতাকে গ্রেপ্তার করে র্যাব-৯। এ সময় রাজনকে সহযোগিতায় করায় আইনুল নামের আরেক ব্যক্তিকেও আটক করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত রাজন তরুণীকে গণধর্ষণ মামলার অজ্ঞাত আসামি ছিল বলে জানা গেছে।