সর্বশেষ সংবাদ

ভোটের হারে ক্ষুব্ধ তারেক, চট্টগ্রাম বিএনপির সব কমিটিই বাতিলের নির্দেশ

নজর২৪ ডেস্ক- চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির থানা ও ওয়ার্ড পর্যায়ে সাংগঠনিক সব কমিটি বাতিল করা হচ্ছে। দল গোছানোর অংশ হিসাবে ১৫টি থানা ও ৪৩টি সাংগঠনিক ওয়ার্ড কমিটি বিলুপ্ত করা হচ্ছে। পরে সম্মেলন করে ওয়ার্ড, থানা এবং মহানগরীর পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হবে।

 

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে পরাজয়ের পর মঙ্গলবার (২ ফেব্রুয়ারি) নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে লন্ডন থেকে যুক্ত হয়ে এমন নির্দেশ দিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

 

গত ২৭ জানুয়ারির চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে বিএনপির মেয়র প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেন বিপুল ভোটে হেরে যান আওয়ামী লীগের প্রার্থী রেজাউল করিম চৌধুরীর কাছে। তবে এর চেয়েও লক্ষ্যণীয় বিষয় হল বিএনপি থেকে এবার একজন কাউন্সিলর প্রার্থীও বিজয়ী হতে পারেননি। গত ২৭ বছরে এমন ঘটনা এই প্রথম।

 

এই বিষয়টিই ভাবিয়ে তুলেছে বিএনপিকে। এর পরপরই বিএনপির মেয়র প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেনসহ ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা দুই মেয়র প্রার্থী তাবিথ আউয়াল ও ইশরাক হোসেনের সঙ্গে অনলাইন বৈঠক করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

 

চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সব সদস্যকে ঢাকায় তলব করা হয়। তারেক রহমানের সঙ্গে এই বৈঠকে যোগ দেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্করসহ ৩৯ সদস্যের কমিটির ৩৮ জনই।

 

মঙ্গলবারের (২ ফেব্রুয়ারি) ওই বৈঠকে চট্টগ্রাম সিটির ভোটে বিএনপির প্রার্থীদের পরাজয়ের প্রসঙ্গ আলোচনায় আসে। সরকারি দলের সমর্থকদের কেন্দ্র দখল, পুলিশ এবং নির্বাচন কমিশনের ভূমিকার পাশাপাশি দলের নেতাদের ভূমিকাও আলোচনায় আসে। বিশেষ করে ভোটের মাঠে সরকারি দলকে মোকাবেলায় শক্ত সাংগঠনিক অবস্থান না থাকার বিষয়টিও আলোচনা হয়।

 

এছাড়া সাংগঠনিক কমিটি গঠনের সময় ত্যাগী ও পরীক্ষিত নেতাদের মূল্যায়ন না করায় তৃণমূল পর্যায়ে দলের এমন বেহাল অবস্থা তৈরি হয়েছে বলে কয়েকজন নেতা অভিযোগ করেন। চট্টগ্রাম নগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির দুই সদস্য এজন্য সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমানকে দায়ী করে বক্তব্য দেন।

 

পরে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানে চট্টগ্রাম নগর বিএনপির সকল পর্যায়ের কমিটি বাতিল করে দেওয়ার নির্দেশ দেন। পর্যায়ক্রমে সম্মেলনের মাধ্যমে প্রথমে ওয়ার্ড ও থানা পর্যায়ে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনেরও পরামর্শ দেওয়া হয়। এরপরই মহানগর বিএনপি সম্মেলন ও কাউন্সিল হবে বলে জানানো হয়।

 

পরে প্রার্থীদের উদ্যোগে বিভাগীয় পর্যায়ে সমাবেশ করার সিদ্ধান্ত হয়। ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা, বরিশাল ও রাজশাহী বিভাগীয় শহরে মোট ৬টি সমাবেশ করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

 

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ধানের শীষের প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘চট্টগ্রাম থেকে সমাবেশ শুরু হবে। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান কিছু দিক-নির্দেশনা দিয়েছেন। আশা করছি, ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠায় বিএনপির আন্দোলনে দেশের মানুষ সাড়া দেবে। কারণ নির্বাচনীব্যবস্থা পুরোপুরি ধ্বংস করেছে সরকার ও বর্তমান নির্বাচন কমিশন।’

আরও পড়ুন

ঝালকাঠিতে কাভার্ড ভ্যান চাপায় দুজন নিহত

ঝালকাঠি প্রতিনিধি: বরিশাল-খুলনা মহাসড়কের ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার নৈকাঠি নামক স্থানে পন্যবাহী কাভার্ড ভ্যানের চাপায় মোটর সাইকেলে থাকা দুজনের মৃত্যু হয়েছে। নিহতরা হলেন, উপজেলার পুর্ব রাজাপুর...

সেরা পঠিত