নজর২৪, ঢাকা- আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, একটা ফ্রেমওয়ার্ক, ধারণাপত্র অথবা একটা দিকনির্দেশনা যদি সামনে থাকে তাহলে যেকোনো কাজ খুব সহজে যারাই ভবিষ্যতে আসুক তারাই করতে পারবে। কারণ আমাদের তো বয়স হয়ে গেছে। আমার তো ৭৪ বছর বয়স। কাজেই সেটাও মাথায় রাখতে হবে। আর কতদিন!
বুধবার (১৬ সেপ্টেম্বর) আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সভার সূচনা বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন দলের সভাপতি শেখ হাসিনা।
এসময় তিনি বলেন, ‘রাজনৈতিক দল হিসেবে অন্যদের দেখেছি, কেবল লিফ সার্ভিস দিতে। মুখে মুখে কথা বলেছে কিন্তু প্রকৃতভাবে মানুষের কাছে গিয়ে সাহায্য করার বিষয়টিতে অন্য দলগুলো বা এনজিওসহ কোনো সংস্থার উপস্থিতি সেইভাবে দেখা যায়নি। আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছে। প্রশাসনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন।’
সভায় শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা করোনাভাইরাসের কারণে এতদিন মিটিং করতে পারিনি। এখন আস্তে আস্তে কিছু মিটিং শুরু করছি। সেই জন্য এ সভাটার আয়োজন করছি। দুঃখের বিষয় হলো করোনাভাইরাসে আমরা অনেক মানুষকে হারিয়েছি।’
তিনি বলেন, ‘করোনার কারণে শুধু বাংলাদেশ নয়, সারাবিশ্বে জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে। সরকার অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে করোনা মোকাবিলা করে দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রাখার চেষ্টা করে যাচ্ছে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘অনেকে ধারণা করছিলেন, আমাদের রেমিট্যান্স কমে যাবে। রেমিট্যান্স কিন্তু কমেনি। আমরা দুই শতাংশ বিশেষ প্রণোদনা দিয়েছি যার কারণে বেড়েছে। অনেকেই ভাবতেই পারেনি রেমিট্যান্স এত বাড়বে। আমাদের রিজার্ভ ৩৯ দশমিক ৪০ মার্কিন ডলার। রিজার্ভও ভালো অবস্থানে। অর্থনৈতিকভাবে মোটামুটি ভালো অবস্থায় আমরা আছি।’
তিনি বলেন, ‘রাজনৈতিক দল হিসেবে একমাত্র আওয়ামী লীগেরই ইকোনমিক পলিসি আছে। সেটাকে মাথায় রেখেই কিন্তু আমরা কাজ করে যাই। এখন আমরা সরকারে আছি এ জন্য আমাদের দায়িত্ব হলো- শুধু বর্তমান নয় আগামী দিনে নতুন প্রজন্মের জন্য দেশটা কীভাবে এগিয়ে যাবে। দেশ কীভাবে চলবে। এখন থেকে সেই প্রস্তুতি আমরা নিয়ে রাখব। নির্দেশনা দিয়ে দেব। এখন আমরা যেটা করছি, সময়ের বিবর্তনে হয় তো তা সংশোধন করতে হবে। পরিবর্তন করতে হবে। পরিশোধন করতে হবে। এটা করতেই হবে। এটা নিয়ম।’