মুক্তির পর তুমুল জনপ্রিয়তা পেয়েছে শাকিব খানের ‘প্রিয়তমা’ সিনেমাটি। প্রেক্ষাগৃহে এখনও কাটেনি তার রেশ। চলচ্চিত্রাঙ্গনের অনেকেই সিনেমাটি দেখে করেছেন প্রশংসা। দেশের সিনেমা জগতের একটি ব্যবসাসফল সিনেমার তালিকায় উঠে এসেছে ঢালিউড কিং খান ও কলকাতার অভিনেত্রী ইধিকা পালের এই সিনেমাটি।
সিনেমা মুক্তির এত দিন পার হলেও সিনেমাটি দেখার সুযোগ হয়নি দেশের প্রেক্ষাগৃহে। সেসময় শাকিব খান জানিয়েছিলেন, যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে প্রেক্ষাগৃহে উপস্থিত হয়ে সিনেমাটি দেখবেন তিনি। তারই ধারাবাহিকতায় যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে জ্যামাইকা মাল্টিপ্লেক্স সিনেমাসে ‘প্রিয়তমা’ দেখেছেন ঢালিউড সুপারস্টার।
এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন নির্মাতা হিমেল আশরাফ, অভিনেত্রী নওশীন নেহরিন মৌ, অভিনেতা সৈয়দ আদনান ফারুক ও প্রধানমন্ত্রীর সাবেক উপ-প্রেস সচিব আশরাফুল আলম খোকন।
নিজের সিনেমা পর্দায় দেখার পর আবেগে কেঁদেই ফেলেন তিনি। সিনেমাটি শেষ হলে উপস্থিত দর্শকরা হাততালি দিয়ে অভিনন্দন জানান। এসময় ঢাকাই কিংয়ের চোখে জল চিকিচিক করতে দেখা যায়।
সেই মুহুর্ত নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ‘প্রিয়তমা’র নির্মাতা হিমেল আশরাফ লিখেছেন, ২০১৭ সালে ‘প্রিয়তমা’ বানানোর ঘোষনার পরে আমাকে আমেরিকা চলে আসতে হয় জীবনের প্রয়োজনে। তারপর থেকে আজ পর্যন্ত আমাকে মিডিয়াতে ছোট করে হলেও বাঁচিয়ে রেখেছিলেন শাকিব খান। আমি দেশে উপস্থিত ছিলাম না, এরপরেও তার প্রায় প্রতিটা সিনেমার অনুষ্ঠানে তিনি আমার কথা বলতেন, আমার নাম বলতেন।
হিমেল আরও লিখেন, ‘প্রিয়তমা’ না করতে পারার পরেও রাজকুমার ও মায়া নামের দুইটা সিনেমায় আমার নাম ঘোষনা করার পরে মোটামুটি সবাই টিটকারি মেরে হেসেছেন। তাকে সবাই বলতেন, হিমেলকে দিয়ে হবে না। নাটকের ছেলে, নাটক বানায় ফেলবে। কেউ বলতেন, ওর প্রথম সিনেমা ভালো যায় নাই, কুফা ভাই নিয়েন না। কেউ কেউ বলেছে. শাকিব ভাই ভুল করতেছেন, ও তো নাটকের কিছু করতে পারে নাই, পরে বুঝবেন। ৯৯ ভাগ মানুষ শাকিব ভাইয়ের কাছে আমার নামে নেগেটিভ মন্তব্য করতেন। কিন্তু কোন এক অদ্ভুত কারণে উনি আমার উপর আস্থা পেতেন। প্রায়ই বলতেন তুই একদিন বড় ডিরেক্টর হবি হিমেল।
এই নির্মাতা লেখেন, আমি আজও জানিনা তিনি আসলে কেন বলতেন এই কথা। শুধু আমাকে না, আমার অনুপস্থিতিতেও তিনি খুবই কনফিডেন্সের সাথে বলতেন, হিমেল ভালো সিনেমা বানাবে। তার কথা শুনে মানুষ মুচকি হাসতো।
শাকিবের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে হিমেল বলেন, আজ ‘প্রিয়তমা’ দেখা শেষে তার ভেজা চোখে চোখ পরতেই আমাকে দেখে হেসে, কাধে হাত রেখে কিছু না বলেও যেন কত কিছু বললেন। আর আমি তার বিজয়ের হাসি দেখে মনে মনে বার বার বলছিলাম, ‘ভাইয়া থ্যাংক ইউ’।