ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনের বেশ কয়েকটি কেন্দ্র থেকে এজেন্ট বের করে দেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী আলোচিত ইউটিউবার মো. আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলম। তার অভিযোগ, ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীরা ভয়ভীতি দেখিয়ে তার এজেন্টদের বের করে দিচ্ছেন।
সোমবার (১৭ জুলাই) সকালে রাজধানীর বনানী মডেল স্কুল কেন্দ্রে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে এ অভিযোগ করেন তিনি।
হিরো আলম বলেন, প্রত্যেকটি কেন্দ্রে এজেন্ট দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তারা আমাদের এজেন্টদের মারধর করে, হুমকি দিয়ে বের করে দিয়েছে।
এজেন্ট বের করে দেওয়ায় সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেন একতারা প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা এই স্বতন্ত্র প্রার্থী। এজেন্ট বের করে দেওয়া হলেও শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে থাকার কথা জানান তিনি।
এ সময় হিরো আলমের প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট মো. ইলিয়াস জানান, প্রত্যেকটি কেন্দ্রে তাদের এজেন্ট দেওয়া হয়েছিল। সব মিলিয়ে ৬২৪ জন এজন্ট দায়িত্ব পালন করছেন। কিন্তু এরই মধ্যে অন্তত ১০-১২টি কেন্দ্র থেকে তাদের এজেন্ট বের করে দেওয়া হয়েছে।
আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি ও স্বতন্ত্র মিলে মোট সাতজন প্রার্থী এই আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও ভোটারদের কাছে বেশি পরিচিত দুজন। নৌকার প্রার্থী মোহাম্মদ আলী আরাফাত এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী আলোচিত ইউটিউবার হিরো আলম। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের অল্প কয়েক মাস আগের এই ভোট নিয়ে ভোটার-প্রার্থী কারও মধ্যে খুব আগ্রহ না থাকলেও অনেকটা হিরো আলমের জন্যই আলোচনায় এসেছে এই আসনের ভোট।
চিত্রনায়ক আকবর হোসেন পাঠান ফারুক গত ১৫ মে মারা যাওয়ায় ঢাকা-১৭ আসন শূন্য ঘোষণা করা হয়।
এই আসনের উপনির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন- আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মোহাম্মদ আলী আরাফাত, আলোচিত ইউটিউবার মো. আশরাফুল হোসেন আলম (হিরো আলম), জাতীয় পার্টির জিএম কাদেরপন্থী সিকদার আনিসুর রহমান, বাংলাদেশ কংগ্রেসের মো. রেজাউল ইসলাম স্বপন, গণতন্ত্রী পার্টির মো. কামরুল ইসলাম, বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোট এর মো. আকতার হোসেন ও তৃণমূল বিএনপির শেখ হাবিবুর রহমান।
সাত প্রার্থীর মধ্যে হিরো আলম ছাড়া বাংলাদেশ কংগ্রেসের মো. রেজাউল ইসলাম স্বপনের ঠিকানা উত্তরা। বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের মো. আকতার হোসেনের ঠিকানা উল্লেখ করা হয়েছে পুরান ঢাকার গেন্ডারিয়ায়।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ১৫, ১৮, ১৯, ২০নং ওয়ার্ড এবং ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট এলাকা নিয়ে গঠিত ঢাকা-১৭ আসন। এ আসনের উপনির্বাচনে ভোটার ৩ লাখ ২৫ হাজার ২০৫ জন। এদের মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৭১ হাজার ৬২৫ জন ও নারী ভোটার ১ লাখ ৫৩ হাজার ৫৮০ জন।
বর্তমান নির্বাচন কমিশনের অধীনে এই প্রথম কোনো সংসদীয় আসনে ভোটগ্রহণ হচ্ছে ব্যালট পেপারে। গত কয়েকটি নির্বাচনের মত ঢাকা-১৭ আসনের উপ-নির্বাচনেও সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে কেন্দ্রে কেন্দ্রে নজর রাখছে নির্বাচন কমিশন।