দুবাইয়ের সমুদ্রপাড় থেকে ভিডিও প্রকাশ করে বিপাকে সিদ্দিক

‘আমি এখন আছি দুবাইয়ের সমুদ্রপাড়ে। এখান থেকে আপনাদের বলতে চাই; জীবনের কোনো না কোনো সময়, একটু ঘুরতে হবে। ঘুরে বেড়ানোর মধ্যে অনেক আনন্দ আছে। যদি আপনার মন খারাপ থাকে, মনকে বুঝাতে না পারেন তখন অন্তত সমুদ্রপাড়ে আসতে হবে বা পাহাড়ের কাছে যেতে হবে,’ ফেসবুকে এক ভিডিও বার্তায় এভাবেই কথাগুলো বলেছিলেন অভিনেতা সিদ্দিকুর রাহমান সিদ্দিক।

সম্প্রতি ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নের আবেদন করেছিলেন এই অভিনেতা। কিন্তু ক্ষমতাসীন দল থেকে মনোনয়ন দেওয়া হয় কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মোহাম্মদ আলী আরাফাতকে। এরপরই মন খারাপ নিয়ে সিদ্দিক উড়াল দেন দুবাইয়ে। বর্তমানে সেখানেই অবস্থান করছেন তিনি। আর সেখানে থেকেই এক ভিডিও বার্তা দিয়েছেন।

কিন্তু এমন ভিডিও বার্তা দিয়ে যেন বিপাকে পড়েছেন এই অভিনেতা। যার প্রমাণ তার ভিডিওতেই দেখা যায়। মনোনয়ন না পেয়ে দুবাই যাওয়ায় অনেকেই বিষয়টি ভালোভাবে নেয়নি। নেটিজেনদের কথায়, এই সময় তার উচিত ছিল দেশের মানুষ ও আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থীর পাশে থাকা। কিন্তু সেটি না করে উল্টো তিনি চলে গেলেন দেশের বাইরে।

আরেকজন লিখেছেন, ‘ভাই কিছুদিন আগে একটা কথা বলছেন, আওয়ামী লীগ আপনাকে মনোনয়ন দিলে আপনি নির্বাচন করবেন। আওয়ামী লীগের হয় মানুষের সেবক হবেন। দুবাই গিয়ে সাগরপাড়ে মানুষের সেবা করবেন- এটাই হলো স্বার্থের জন্য দলে যোগ দেওয়া।’

অন্য একজন লিখেছেন, ‘নমিনেশন না পেলে মঙ্গল গ্রহে যেতে হবে- এ কেমন কর্মীরে! তোমার তো উচিত ছিল যাকে নমিনেশন দিয়েছে তার হয়ে কাজ করার।’

সিদ্দিক তার ভিডিওতে আরও বলেন, ‘সমুদ্রপাড়ে আসলে আপনার মনটা বিশাল সমুদ্রের মতো হয়ে যাবে। নতুন করে জীবনকে আবার চিন্তা করতে পারবেন, আমিও তাই। আপনারা জানেন, আমার মন খারাপ ছিল, এখনো কিছুটা আছে। তবে মন ভালো হয়ে গেছে যখন সমুদ্রপাড়ে এসেছি।’

ভিডিওতে তিনি জানান, মানবতার সেবক হয়ে দীর্ঘদিন ধরেই কাজ করছেন সিদ্দিক। আর আগামীতেও তার এই কাজ অব্যাহত থাকবে। মানবতার কাজে থাকলেও মাঝে মধ্যে দূরে ও একা সময় কাটাতে চান সিদ্দিক। আগামীতে আরও অনেক কাজ করার পরিকল্পনা আছে তার। সবশেষে সবার কাছে দোয়া চেয়েছেন ছোটপর্দার এই অভিনেতা।

৩ মিনিট ২৬ সেকেন্ডে ভিডিওতে প্রায় হাজার মন্তব্য পড়েছে। তবে সেখানে ভালো কোনো কথা খুঁজে পাওয়া যায়নি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *