‘পরীমণি কখনই আমাকে ছেড়ে যাবে না, আমিও যাবো না। আমাদের দুজনের কবরটাও একসঙ্গে হবে।’ বাবা হওয়ার খবর জানিয়ে স্ত্রী পরীমণিকে নিয়ে এভাবেই বলেছিলেন অভিনেতা শরিফুল রাজ।
গত বছর ১১ জানুয়ারি রাজ পরীমণির একটি ছবি ফেসবুকে পোস্ট করেন। ছবিতে পরীমণির হাতে একটি ফুল, মুখে মাস্ক, হুইলচেয়ারে বসা। হুইলচেয়ারটি এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিরেন রাজ। তার মুখেও মাস্ক। ছবির ক্যাপশনে লিখেছিলেন, ‘কনগ্র্যাচুলেশন রাজ, থ্যাংক ইউ পরী।’
এমন পোস্টের পরই জানা যায় রাজ-পরী বাবা-মা হচ্ছেন। ছবিটি দেখার পর প্রথমে অনেকেই ভেবেছিলেন হয়তো কোনো সিনেমার দৃশ্য। কিন্তু না, সেদিন সন্তান সম্ভবা পরীকে মেডিকেল চেকআপের জন্য হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিলেন রাজ।
সে সময় রাজ জানিয়েছিলেন, ‘গুনিন’ চলচ্চিত্রের শুটিংয়ের সময় তাদের পরিচয় এবং প্রেম।
তবে এই প্রেম ও পরিণয়ের পুরো কৃতিত্ব পরিচালক গিয়াস উদ্দিন সেলিমকে দেন শরিফুল রাজ। তিনি বলেছিলেন, ‘তার ছবি করতে গিয়েই পরীকে পেয়েছি। আর পরী কখনোই তাকে ছেড়ে যাবে না। আমাদের কবরও একসঙ্গে হবে।’
অথচ সেই পরী আর রাজ এখন আলাদা। রাজ বলছেন, আমার আর পরীর একসঙ্গে থাকা সম্ভব নয়।
অন্যদিকে পরীমণি জানিয়েছেন, ‘গত মার্চের শেষ সপ্তাহে রাজ আমাদের বিয়ের কাবিননামা ছিঁড়ে ফেলে। শুধু ছেঁড়া বললে ভুল হবে, সে কাবিননামাটি টুকরো টুকরো করে ফেলে। তখন রাজ বলেছিল, সে এ বিয়ে মানে না।’
পরীর অভিযোগ, ‘তার (রাজ) সঙ্গে এক ছাদের নিচে থাকতে অনেক চেষ্টা করেছি আমি। তাকে ধরে রাখার চেষ্টা করেছি, হাত-পা ধরেছি। কিন্তু সে আমার সঙ্গে থাকতে চায় না।’
রাজের সঙ্গে সংসার এগিয়ে নিয়ে যাওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘সত্যি রাজের সঙ্গে আর সংসার করার ইচ্ছা নেই আমার। আর ইচ্ছা থাকার পরও তো আর হচ্ছে না। যার সঙ্গে সংসার করব সেই-ই তো নেই। আপাতত এতটুকু বলতে পারি। আমি আমার পথে চলব, সে চলবে তার পথে। আর এই ইস্যু নিয়ে আর কথাও বলতে চাই না আমি।’
প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের ১৭ অক্টোবর গোপনে বিয়ে করেন পরীমণি ও শরিফুল রাজ। মাত্র সাত দিনের পরিচয়ে তারা বিয়ে করেছিলেন। ২০২২ সালের ১০ জানুয়ারি সেই খবর প্রকাশ্যে আনেন তারা। একই দিন সন্তানধারণের বার্তাটিও দেন এ দম্পতি। এরপর ২২ জানুয়ারি পারিবারিক আয়োজনে বিয়ে সারেন। একই বছরের ১০ আগস্ট তাদের ঘর আলো করে এসেছে পুত্রসন্তান শাহীম মুহাম্মদ রাজ্য।