চলচ্চিত্রে শাকিব খানের দীর্ঘ ২৪ বছর ধরে পথচলা। সময়টা হাতের আঙুলে একেবারে কম নয়। প্রায় দেড় যুগ ধরে তিনি ইন্ডাস্ট্রি শাসন করছেন। এই সময়ে পুরনো-নতুন অনেক নায়কই কাজ করেছেন। কিন্তু জনপ্রিয়তা কিংবা সাফল্যে তার ধারে কাছে যেতে পারেননি কেউই। ১৯৯৯ সালে ‘অনন্ত ভালোবাসা’ দিয়ে চলচ্চিত্র জগতে পা রাখে ঢাকাই চলচ্চিত্রের সুপারস্টার শাকিব খান।
গতকাল রোববার ঢাকাই সিনেমার সুপারস্টার শাকিব খানের ক্যারিয়ারের দুই যুগ পূরণ হয়েছে। কক্সবাজারে সিনেমা ‘প্রিয়তমা’র শুটিংয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন শাকিব। শাকিবের সঙ্গে জুটি বেঁধেছেন কলকাতা থেকে আসা ইধিকা পাল। কক্সবাজারে শুটিংয়ের ফাঁকে শাকিবের ক্যারিয়ারের এই উজ্জ্বল ক্ষণটিকে কেক কেটে উদযাপন করা হয়।
বিশেষ এই দিনে সুপারস্টার শাকিব জানালেন, সবাইকে খুশি করে চলা পৃথিবীর কোনো মানুষের পক্ষে সম্ভব না। ক্যারিয়ারের দুই যুগ পূরণ হওয়ার মুহূর্তে সংবাদমাধ্যমে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ কথা জানান তিনি।
তিনি বলেন, ‘অনেক বছর ধরে দেখেছি একটা স্বার্থান্বেষী মহল আমার বিরুদ্ধে এমনটা করেন। তাদের কথায় কান দিলে অনেক আগেই থেমে যেতে হতো। দশ জন আমার খারাপ চাইলেও কোটি মানুষ আমার জন্য ভালো চায়, আমার জন্য দোয়া করে। তাদের ভালোবাসার শক্তিতে আমি দ্বিগুণ এগিয়ে যাই। সবাইকে খুশি করে চলা পৃথিবীর কোনো মানুষের পক্ষে সম্ভব না। সবসময় আমার কাজটা করেছি এবং যতদিন বেঁচে থাকবো করে যাব।’
শাকিব খান বলেন, আজ যখন চলচ্চিত্রে আমার ২৪ বছরে হলো সেদিনও আমি শুটিং করছি ‘প্রিয়তমা’ সিনেমার। এরচেয়ে বড় পাওয়া আর কী থাকতে পারে একজন অভিনেতার জীবনে। চলচ্চিত্রের মানুষ হিসেবে অবশ্যই আনন্দিত। চলচ্চিত্রের প্রতিটি মানুষ, আমার দর্শক, ভক্ত, সাংবাদিক সবার কাছে অনেক কৃতজ্ঞতা। তাদের সবার জন্য আজকের আমি। আসলে মানুষের ভালোবাসার ওপর আর কিছু নাই। পেছন দিকে তাকিয়ে অনেককিছু দেখতে পাই। কিন্তু পেছনের দিনগুলো মনে রেখে সামনে এগিয়ে যেতে চাই। এই যে আজও শুটিং করছি ব্যস্ত রয়েছি সিনেমার জন্য।
কিং খান বলেন, সিনেমার কারণেই আজকের এই আমি। মানুষের অবিরাম ভালোবাসা আমাকে স্বপ্ন দেখায়। তাই এখন বছরে অল্প সংখ্যক সিনেমা করতে চাই। ভালো-ভালো প্রজেক্টের সঙ্গে থাকতে চাই। এমন কিছু করতে চাই না যেটা আমার দর্শকরা পছন্দ করবে না। তাদের জন্য আজকের এই শাকিব খান হতে পেরেছি।
তিনি বলেন, আমি তাদের জন্যই সিনেমায় অভিনয় করি। সেই লাখ লাখ মানুষের জন্যই আমার সিনেমা। তারা কেউ আমার সিনেমা ফ্রি দেখে না। তাদের কষ্টে উপার্জিত টাকার একটি অংশ থেকে সময় ব্যয় করে আমার সিনেমা দেখে। দিনশেষে সিনেমা হিট কিংবা ফ্লপ করায় তারা। যত বাধা-বিপত্তি আসুক সবসময় আমার লাখ লাখ দর্শক দূর-দূরান্তে গিয়ে হলেও আমার সিনেমা দেখেছে। তারা না থাকলে আমি কিছুই না।