একরত্তি বয়সেই দিঘী অর্জন করেছিলেন তুমুল জনপ্রিয়তা। শিশুশিল্পী হিসেবে তার অভিনয়ে অভিভূত হননি এমন মানুষ কমই আছেন। স্বীকৃতিস্বরূপ পেয়েছিলেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। তাকে নিয়ে তাই সবার আশার কমতি ছিল না। কিন্তু নায়িকা হিসেবে ক্যারিয়ারের প্রথম চলচ্চিত্রের মাধ্যমেই অনুরাগীদের সে গুড়ে দিয়েছেন বালি। এরপর আর আলোচনার টেবিলে সগৌরবে ছিলেন না দীঘি। নায়িকা হিসেবে আত্মপ্রকাশের পর বিতর্ক যেন পিছু ছাড়ছে না তাঁর। সিনেমার চেয়ে ব্যাক্তিগত জীবনের সমালোচনার পাল্লায় ভারি।
এর আগে, বর্ষীয়ান চলচ্চিত্র পরিচালক দেলোয়ার জাহান ঝন্টু ও পরিচালক রায়হান রাফির মন্তব্য বেশ আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দেয় চলচ্চিত্রপাড়ায়। সেই বিতর্ক শেষ না হতেই, নতুন বিতর্ক তৈরি হয়েছে দীঘিকে। প্রাপ্তবয়স্ক অভিনেত্রী হিসেবে আত্মপ্রকাশ করলেও আলোচনায় আসতে পারছেন না তিনি। আলোচনার বদলে তাকে নিয়ে হচ্ছে শুধুই সমালোচনা।
এ প্রসঙ্গে নির্মাতা মালেক আফসারী বলেন, ‘আমার আক্ষেপ সব নায়িকা কিন্তু অন্য নায়িকার বুদ্ধিতে চলেন না বা কিছু শেখেন না। তাঁরা চলেন তাঁদের মা, বাবা, বা অন্য কোনো কাছের মানুষের কথায়। দীঘিও মনে হয় অন্য কারও বুদ্ধিতে চলতে গিয়ে নায়িকা হয়ে ওঠতে পারছেন না। তাঁর সঙ্গে তাঁর এক মামা থাকেন। আমার ধারণা এই মামাই দীঘির নায়িকা হয়ে ওঠার পথে বড় বাধা। ওই লোক তাঁর কেমন মামা তা আমি জানি না। কারণ লোকটার সঙ্গে দীঘি যেভাবে টিকটক করেন তাতে সাধারণ মানুষ ও মিডিয়ার কাছে দীঘিকে নিয়ে একটি বিরূপ ধারণা তৈরি হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, একটি ঘটনার কথা বলি, প্রযোজক সেলিম খান আমাকে বলেছিলেন দীঘি ও শান্তু খানকে নিয়ে একটি ছবি নির্মাণ করতে। তাই ছবিটির ব্যাপারে আলাপ করতে আমি দীঘি ও শান্তুর সঙ্গে বৈঠকে বসি। বিরক্তিকর ব্যাপার হলো আমরা আলাপ করার সময় দীঘির সেই মামা বারবার এসে আলোচনায় হস্তক্ষেপ করছিলেন। শেষ পর্যন্ত আমি বিরক্ত হয়ে বৈঠক ছেড়ে আসতে বাধ্য হই। এ কারণে ছবিটি নির্মাণ করা আমার পক্ষে আর সম্ভব হয়নি। আরেকটি বিষয় হলো দীঘি নায়িকা হয়ে আসতে না আসতেই নিজেকে বড় মাপের কিছু একটা ভাবতে শুরু করেছিলেন।’