নজর২৪, ঢাকা- নিরপরাধ কাউকে হয়রানি নয়, প্রকৃত দোষীদের খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন হেফাজতে ইসলামের প্রতিষ্ঠাতা আমির আল্লামা আহমদ শফীর ছেলে মাওলানা আনাস মাদানি।
সোমবার (১৯ এপ্রিল) বিকালে আঞ্জুমানে দাওয়াতে ইসলাহ’র আমির মাওলানা আনাস মাদানি এসব কথা বলেন। বর্তমানে তিনি দুবাইতে আছেন।
আলেমদের গ্রেফতার প্রসঙ্গে আনাস মাদানি বলেন, ‘গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে বিচারের নামে নিরপরাধ কাউকে যেন অযথা হয়রানির শিকার না হতে হয় এ বিষয়ে সরকারকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে। প্রকৃত দোষীদের খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনা হোক, এটা আমাদেরও দাবি।’
আরও পড়ুন-
বিভক্ত হেফাজত নানা চাপে কোণঠাসা
নামাজ-রোজা-কোরআন পড়ার সুযোগ চাইলেন মামুনুল হক
মাস্ক খুলে মুচকি হাসলেন মামুনুল হক
সংগঠনের দফতর সম্পাদক মোহাম্মদ সালমান স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে আনাস মাদানি দেশের সব কওমি মাদ্রাসা খুলে দেওয়ারও আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, ‘লকডাউনের মধ্যেও কওমি মাদ্রাসার শিক্ষাপদ্ধতির প্রতি সুবিচার করে বিশেষ ব্যবস্থাপনায় হলেও এগুলো অতি দ্রুত খুলে দেওয়া হোক। প্রয়োজনে স্বাস্থ্যবিধি মান্য করার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করে কীভাবে শিক্ষা কার্যক্রম অব্যাহত রাখা যায় সে বিষয়ে উলামায়ে কেরামের সঙ্গে সমন্বয় করে যথাযথ ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হোক।’
আনাস মাদানি বলেন, ‘আব্বাজান শাইখুল ইসলাম আল্লামা শাহ আহমদ শফী রহ. ছিলেন এদেশের কওমি মাদ্রাসার জন্য আল্লাহর বিশেষ রহমত স্বরূপ। তিনি সবসময় ইসলাম ও মুসলমানের কল্যাণের কথা ভেবেছেন এবং সব দল ও মতের মানুষের সঙ্গে সম্মানজনক সম্পর্ক বজায় রেখে চলছেন।
ইসলামি শিক্ষা তাহজিব ও তমদ্দুনকে সবর্স্তরের জনসাধারণের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে এদেশের কওমি মাদ্রাসাগুলোর যে বৃহৎ অবদান রয়েছে তাকে সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে তৃণমূল পর্যন্ত সঠিকভাবে উপস্থাপন করায় তার অবদান অনস্বীকার্য।’
উল্লেখ্য, গত মাসে নরেন্দ্র মোদির সফর ঘিরে হেফাজতের অবস্থান এবং পরে সহিংসতার ঘটনায় সংগঠনটির ওপর চড়াও হয়েছে সরকার। প্রথমে কর্মীদের, পরে স্থানীয় থেকে মধ্যম সারির নেতাদের এবং সর্বশেষ কেন্দ্রীয় নেতাদের গ্রেফতার করছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
সর্বশেষ রবিবার (১৮ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর মোহাম্মদপুর থেকে সংগঠনটির আলোচিত-সমালোচিত যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
১১ এপ্রিল থেকে এ পর্যন্ত হেফাজতের কেন্দ্রীয় অন্তত আট জন নেতাকে গ্রেফতার করলো পুলিশ। তারা হলেন, মাওলানা জুনায়েদ আল হাবিব, আজিজুল হক ইসলামাবাদী, মাওলানা মামুনুল হক, মাওলানা জালাল উদ্দিন আহমাদ, মাওলানা মুঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী, মুফতি শরীফ উল্লাহ, মাওলানা সাখাওয়াত হোসেন রাজি ও মুফতি ইলিয়াস।
এছাড়া সারাদেশ থেকে অন্তত দেড়শতাধিক নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে বিভিন্ন মামলায়। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য মুফতি আমিনীর মেয়ের জামাই মাওলানা জুবায়ের
