নজর২৪, ঢাকা- দেশে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের সংক্রমণ আশঙ্কাজনকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মীরা সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক এমপি।
তিনি বলেন, হাসপাতালগুলোতে রোগীর চাপ এতটাই বেড়েছে যে সেবা দিতে আমাদের স্বাস্থ্যকর্মীদের হিমশিম খেতে হচ্ছে। অনেকে হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসা পাচ্ছেনও না।
বুধবার (৭ এপ্রিল) বেলা ১২টায় বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস ২০২১ উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) আয়োজনে এক ভার্চুয়াল মিটিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা প্রায় সব হাসপাতালে বেড বাড়ানোর চেষ্টা করছি। সাধারণ রোগী কমিয়ে করোনা রোগীদের জন্য বাড়তি বেডের ব্যবস্থা করার চেষ্টা অব্যাহত আছে। এতে সাধারণ রোগীদেরও কষ্ট হবে।
তিনি বলেন, সাধারণ রোগীদের চিকিৎসা আর করোনা রোগী বৃদ্ধি- দুটো মিলে স্বাস্থ্যসেবার ওপর বিরাট চাপ। আমাদের ডাক্তার-নার্সরা কাজ করতে করতে পরিশ্রান্ত হয়ে পড়েছেন। তাদের আমরা ছুটি দিতে পারছি না। এখন যদি আমরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে না পারি, তবে হাসপাতালে রোগীদের জায়গা দেওয়া সম্ভব হবে না।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ধারাবাহিকভাবে সংক্রমণ বাড়ছে। এ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা না গেলে চিকিৎসা ব্যবস্থা ভেঙে পড়বে। রোগীকে চিকিৎসা দেয়া সম্ভব হবে না। ঢাকা শহরের হাসপাতালগুলোতে রোগী ভরে গেছে, এখন উপচে পড়ছে।
করোনা ভাইরাস নিয়ন্ত্রণ বিশ্বের সব দেশ হিমশিম খাচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমাদের এ ক্ষেত্রে প্রস্তুতি রয়েছে। করোনা পরীক্ষা জন্য ২৩৭ ল্যাব রয়েছে। ৩৫ হাজারের বেশি পরীক্ষা হচ্ছে একদিনে।’
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় দেশে লকডাউন দেয়া হয়েছে। করোনা নিয়ন্ত্রণে আমরা সফল হয়েছিলাম। সংক্রমণ ২ এর নিচেই নেমে এসেছিল। তবে গত একমাসে এটি ২৩ এর ওপরে চলে গেছে।’
মন্ত্রী জানান, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে ১৮ দফা নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। করোনা নিয়ন্ত্রণে সবাইকে অবশ্যই নির্দেশনা মেনে চলতে হবে।
উন্নয়ন ও চিকিৎসাব্যবস্থার ক্ষতি উল্লেখ করে মন্ত্রী জানান, মহামরির মধ্যে দরিদ্র্য মানুষের বেশি ক্ষতি হয়। মানুষের মানসিক চাপ বেড়ে যায়। করোনার মধ্যে অসংক্রমক রোগীদের চিকিৎসাসেবা ব্যাহত হচ্ছে। মা ও শিশুরা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, টিকা সব দেশের জন্যই নিশ্চিত করা উচিত, শুধু উন্নত দেশকে টিকা দিয়ে এই সমস্যা সমাধান হবে না।