আজ বুধবার সন্ধ্যায় না ফেরার দেশে চলে গেছেন ঢালিউডের বরেণ্য নির্মাতা সোহানুর রহমান সোহান। তার মৃত্যুতে স্তব্ধ চলচ্চিত্র পাড়া। শোক ছুঁয়ে গেছে সুপারাস্টার শাকিব খানকে। তিনি তা প্রকাশ করেছেন সামাজিক মাধ্যমে।
নিজের ফেসবুকে মৃত পরিচালকের একটি ছবি প্রকাশ করে শাকিব লিখেছেন, ‘এই তো কয়েকদিন আগেও সোহান ভাইয়ের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ কথা হচ্ছিল। বলছিলেন, তিনি অসুস্থ, উন্নত চিকিৎসা নিতে জাপান যাবেন। কিন্তু আজ সন্ধ্যায় হঠাৎ করে খবরটি পেয়ে আঁতকে উঠলাম! জানলাম, ভাবীর মৃত্যুর একদিন পরই সোহান ভাইও পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে চলে গেলেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন…’
সোহানুর রহমান সোহানের হাত ধরেই চলচ্চিত্রে পথচলা শুরু শাকিবের। মাসুদ রানা থেকে তিনিই এ নায়কের নাম দিয়েছিলেন শাকিব খান। বিষয়টি উল্লেখ করে কিং খান বলেন, ‘আমার এই শাকিব খান নামটি সোহান ভাইয়ের দেওয়া। সত্যি কথা বলতে, তার সম্পর্কে কিছু বলার বা লেখার ভাষা হারিয়ে ফেলেছি। ভাবী এবং সোহান ভাইকে মহান আল্লাহ পরপারে শান্তিতে রাখুন।’
১৯৯৯ সালে সোহান পরিচালিত অনন্ত ভালোবাসা ছবির মাধ্যমে ঢালিউডে খাতা খোলেন শাকিব। এ ছবিতে তার বিপরীতে ছিলেন ইরিন জামান। তুমুল জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিল ছবিটি।
বুধবার সন্ধ্যায় রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন জনপ্রিয় চলচ্চিত্র নির্মাতা সোহানুর রহমান সোহান। চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির সভাপতি কাজী হায়াত ঢাকা মেইলকে এই তথ্য নিশ্চিত করে সন্ধ্যায় জানিয়েছিলেন, সম্ভবত ঘুমের মধ্যে তিনি মারা গেছেন। পরে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ খ্যাত এই চলচ্চিত্র নির্মাতা শিবলি সাদিকের সহকারী হিসেবে তার চলচ্চিত্র কর্মজীবন শুরু করেন। তার পরিচালিত প্রথম চলচ্চিত্র ‘বিশ্বাস অবিশ্বাস’ (১৯৮৮)।
জনপ্রিয় এই নির্মাতার হাত ধরেই চলচ্চিত্রে আসেন সালমান শাহ, মৌসুমী, পপি ও ইরিন জামান। শাকিব খানের মুক্তি পাওয়া প্রথম ছবির পরিচালকও তিনি। সোহানুর রহমান সোহানের উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র হলো- ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ (১৯৯৩), ‘স্বজন’ (১৯৯৬), ‘আমার ঘর আমার বেহেশত’, ‘অনন্ত ভালবাসা’ (১৯৯৯)।