লিখন রাজ, রূপগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি: নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে কায়েতপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের ৯ নং ওয়ার্ডের চনপাড়া পূর্ণবাসন কেন্দ্রের উপ-নির্বাচনে ইউপি সদস্য হিসেবে ৩৬৪০ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন শমসের আলী (হাতি)। তার প্রতিদ্বন্দ্বী নুর আলম মুন (টিউবওয়েল) পেয়েছেন ৩১৯৭ ভোট। ফলাফলের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন, রূপগঞ্জ উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং অফিসার তাজাল্লি ইসলাম। সোমবার (১২ জুন) সকাল আটটা থেকে বিকেল চারটা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।
নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, ওয়ার্ডটিতে মোট ভোটার ২২ হাজার ৭ জন। ১০টি কেন্দ্রে ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট গ্রহণ চলছে। এই উপ-নির্বাচনে মোট প্রার্থীর সংখ্যা ১৬ জন।
নির্বাচনের প্রার্থীরা হলেন, জয়নাল আবেদীন, শমসের আলী খান, শাহাবুদ্দিন, রবিন, খলিলুর রহমান, শফিকুল ইসলাম, আল-আমিন, আনোয়ার হোসেন, ইব্রাহিম মোল্লা, জহিরুল ইসলাম রাসেল, আবিদ হাসান, চাঁন মিয়া, মো. ইব্রাহিম, জাহাঙ্গীর আলম, নূর আলম মুন ও মোহাম্মদ বাবুল।
রূপগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফয়সাল হক বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষ্যে এই ওয়ার্ডের ১০টি ভোট কেন্দ্রে ১০ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, ২ প্লাটুন বিজিবি, ২ টি র্যাব টিম, ২৪৫ জন পুলিশ ও গোয়েন্দা পুলিশ দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি আরও বলেন, বিগত দিনেও ইভিএমে সুষ্ঠুভাবে ভোট সম্পন্ন হয়েছে এবারও একটি সুষ্ঠু, সুন্দর এবং নিরপেক্ষ নির্বাচন উপহার দিতে পেরেছি।
উল্লেখ্য, কায়েতপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের ৯ নং ওয়ার্ডে চনপাড়া পূর্ণবাসন কেন্দ্র এলাকার ইউপি সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন বজলুর রহমান বজলু। চনপাড়ার কেন্দ্র এলাকার অপরাধের নিয়ন্ত্রক হিসেবে পরিচিত বজলুর রহমান বজলু মারা যাওয়ার পর এখানকার ইউপি সদস্যপদটি শূন্য হয়। বজলুর রহমান বজলু মারা যাওয়ার পর চনপাড়ার অপরাধের নিয়ন্ত্রণ হাতে নিতে শমসের বাহিনী, জয়নাল বাহিনীসহ কয়েকটি বাহিনী অন্তত ১০ থেকে ১৫ বার গোলাগুলি ও সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এসব ঘটনায় নিরীহ এলাকাবাসী, পথচারীসহ উভয় বাহিন গুলিবিদ্ধসহ অন্তত দুই শতাধিক আহতের ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনায় পুলিশ একাধিক মামলা করেছেন এবং অস্ত্রসহ আসামি ও গ্রেফতার করেছেন। ৯ নং ওয়ার্ডের উপনির্বাচনে সেই শমসের বাহিনীর প্রধান শমসের আলী ইউপি সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন।
এসএইচ